Advertisement

রাতের অন্ধকারে কবর থেকে আনিসের দেহ তুলতে গিয়ে এলাকাবাসীর রোষের মুখে পুলিশ

হাওড়ায় আনিসের গ্রামে নতুন করে উত্তেজনা, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। কবর থেকে দেহ তুলতে আসলে বাধা দেওয়া হয় পুলিশকে।

ফাইল ছবিফাইল ছবি
বৈদ্য়নাথ ঝা
  • হাওড়া,
  • 26 Feb 2022,
  • अपडेटेड 11:16 AM IST
  • হাওড়ার আমতায় নতুন করে উত্তেজনা
  • পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এলাকাবাসীর
  • কবর থেকে দেহ তুলতে আসায় বাধা

শনিবার ভোরে হাওড়া আমতায় মৃত ছাত্র আনিস খানের গ্রাম আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আনিসের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের কথা বলা হয়। আনিসের গ্রামে হঠাৎই ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশবাহিনী। অ্যাডিশনাল এসপি ইন্দ্রজিৎ সরকারের নেতৃত্বে আমতা টু এর বিডিও মাসুদুর রহমান এবং গ্রামীণের পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ছিলেন।

কেন আচমকা পুলিশ গ্রামে, তা স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আনিস খান এর মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের কথা। এরপরে গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁদের ওপর। কোর্টের নির্দেশে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিমের আধিকারিকদের বলা হয়েছিল সোমবার সকাল দশটার সময় আনিসের কবর থেকে মৃতদেহ বের করে ময়নাতদন্তের পাঠানো হবে। তাহলে কোন রকম বৈধ কাগজপত্র না নিয়েছে রাতের অন্ধকারে কেন লুকিয়ে মৃতদেহ তুলতে এল তারা।

পুলিশকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। এবং কবর থেকে আনিসের মৃতদেহ তোলার অনুমতি পত্র দেখাতে পারেননি অ্যাডিশনাল এসপি ও আমতা-টু বিডিও। মুলতো SIT এর তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছিলেন সোমবার সকাল দশটা নাগাদ আনিসের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তে পাঠানো হবে। কিন্তু তার আগে আজ ভোরে লুকিয়ে এইভাবে তুলতে আসার পিছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা বা আনিসের পরিবারের যে লোকেরা।  এরপর স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবারের লোকের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ,অবশেষে এই বিশাল পুলিশবাহিনী সকাল ছটা নাগাদ ফিরে যান।

আরও পড়ুন

ছাত্রনেতা আনিস খান (Anis Khan) হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি চেয়ে এর আগে দুদিন আগেই পথে নামেন সাধারণ গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার মিছিল করে আমতা থানা ঘেরাও করেন তাঁরা। এই মিছিলে শামিল হন আনিসের বাবা সালাম খানও। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলকারীরা থানার ভিতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন গ্রামবাসীরা। বাধে খণ্ডযুদ্ধ। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। মিছিল থেকে ঢিল ছোড়া হয় পুলিশের দিকে। যা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে মিছিল।

ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারদিন পর আনিস হত্যাকাণ্ডে দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে এই পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়, প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন গ্রামবাসীরা। এদিন সেই দাবিতেই কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা আমতা থানা অভিযানে নেমেছিলেন।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement