কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে উত্তরে
করোনা আক্রান্তের সংখ্য়াকে উত্তরে ছাপিয়ে গেল সুস্থতার হার। এই প্রথমবার। ফলে উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য থেকে সব মহলেই খুশির হাওয়া। মৃতের সংখ্যাও গত ১৫ দিনের গড় সংখ্যার চেয়ে পাল্লা দিয়ে কমেছে। যেখানে বেশ কিছুদিন গড়ে ২০ জন করে মৃত্যু হচ্ছিল গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে, সেখানে শুক্রবার সারাদিনে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১২ জনের। ফলে আপাতত স্বস্তি ফিরেছে। তবে এখনই আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
নেতিবাচক সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস
করোনা আক্রান্তের ও মৃতের নেতিবাচক সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস ঘটেছে গত কয়েকদিনে। মোট সংখ্যা অনেক ক্ষেত্রেই ক্রমহ্রাসমান। মৃতের সংখ্যা উত্তরে কুড়ি থেকে আগেই নেমেছিল। এবার করোনা আক্রমণে মৃতের সংখ্যা এসে দাঁড়াল ১২। গত চব্বিশ ঘন্টায় মাত্র ১২ জনের গোটা উত্তরবঙ্গে করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানা গিয়েছে। তবে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা তেমন কমেনি। খানিকটা বেড়েছে। তবে তা গত কয়েকদিনের ঘর সংক্রমণ থেকে বেশি নয়। তবে সুস্থতার হার বৃদ্ধি আশার আলো দেখাচ্ছে।
পাশাপাশি বেড়েছে সুস্থতার হারও
উত্তরের আট জেলায় শেষ ২৪ ঘন্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৪৯। সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৪।
মৃতের পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে পাঁচজন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, একজন রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, বাকি তিনজন শিলিগুড়ির বিভিন্ন নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। বাকিরা জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সংক্রমণের খতিয়ান
এদিন উত্তরবঙ্গের আট জেলায় মোট সংক্রমিতদের মধ্যে ৬৭ জন আলিপুরদুয়ারে, ৩০৩ জন কোচবিহারে, ৪৬৭ জন দার্জিলিঙে, ৪৫ জন কালিম্পং-এ, ৫১৮ জন জলপাইগুড়িতে, ২৪৩ জন উত্তর দিনাজপুরে, ১৪৯ জন দক্ষিণ দিনাজপুরে, ১৫৭ জন মালদায় সংক্রমিত রয়েছেন।
মালদায় সেফহোম বাড়লো
অন্যদিকে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এ কুড়ি শয্যাবিশিষ্ট ফোন চালু করা হয়েছে পাড়ার লোকেরা নিজেরাই এই সিম চালু করেছেন সেখানে অক্সিজেনের সুবিধা মিলবে পাশাপাশি যে কদিন থাকতে হবে তার খাওয়া-দাওয়াও দেবেন তারা স্বাস্থ্য দপ্তরে তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।