Darjeeling Toy Train Joyride: ধস (Landslide) নেমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ দার্জিলিং-শিলিগুড়ি (Darjeeling-Siliguri) টয় ট্রেন। ফলে কলকাতা বা বাইরে থেকে এসে এনজেপি স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে পাকদন্ডি বেয়ে দার্জিলিং যাওয়ার শখ আপাতত মুলতুবি রাখতে হচ্ছে পর্যটকদের। আর এই সুযোগে দুধের স্বাদ ঘোলে হলেও টয় ট্রেন (Toy Troin) চড়তে জয়রাইডই এখন ভরসা। ফলে চাহিদা এখন তুঙ্গে। কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং (Kurseong-Darjeeling) কোনও জয়রাইডই প্রায় ফাঁকা যাচ্ছে না। বরং ওয়েটিং লিস্টে থাকছেন অনেকেই।
আরও পড়ুনঃ Durgapuja 2022: কোন রাশির জাতকদের জন্য দুর্গাপুজো করা সবচেয়ে ভাল? এভাবে পুজো করুন
বাড়ছে কার্শিয়াং-দার্জিলিং জয়রাইড
শিলিগুড়ি থেকে লম্বা পথে দার্জিলিং যাওয়া আপাতত বন্ধ। তবে কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিংয়ের ঘন্টা খানেকের পথ নেহাত মন্দ নয়। টুং, সোনাদা, ঘুম পেরিয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত জয় রাইডেই আপাতত নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন পর্যটকেরা। বিকল্প কোনও উপায় না থাকায় এখন হাউসফুল ট্রেনগুলি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, সব দিক বিবেচনা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে, জয় রাইডের সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (Darjeeling Himalayn Railway)। এখনই এই অবস্থা, পুজোর ছুটি শুরু হয়ে গেলে কার্যত প্রচুর লোককে ঘুরিয়ে দিতে হবে। এই আশঙ্কা থেকেই জয় রাইডের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে তারা।
কবে থেকে শুরু বাড়তি জয়রাইড?
১ অক্টোবর থেকে এই বাড়তি জয় রাইড চালানো হবে। এই মুহূর্তে দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াং থেকে রুটে ৮ টি জয়রাইড চলছে। ১ অক্টোবর থেকে এটি বেড়ে ১২ টি হয়ে যাবে বলে ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পাশাপাশি শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে সম্পূর্ণ রুটের টয় ট্রেন চালানোর ব্যাপারেও আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। আশা করছেন পুজোর আগেই তাঁরা থমকে থাকা রুটে সেই ট্রেন চালু করে দিতে পারবেন। ফলে পর্যটন সার্কিট বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর হাত না থাকলেও যেখানে সম্ভব সেখানে রেল কর্তৃপক্ষ যে সদিচ্ছা দেখিয়েছে তাকে পর্যটনের জন্য সুখবর বলে জানিয়েছেন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল, ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবাশিস মৈত্ররা।
কয়েক দিনের ব্য়বধানে ধস নেমে বন্ধ টয়ট্রেনের পূর্ণাঙ্গ রুট
চলতি মাসে পর পর দু'বার টানা বৃষ্টিতে ধস নেমে তিনধারিয়া এবং গয়াবাড়ির মাঝখানে ট্রেন লাইন ধসে গিয়েছে। অগাস্টের শেষের দিকে টয় ট্রেনের লাইন মেরামত করে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তা চালু করা হয়েছিল। চালু করার তিন দিনের মাথায় ফের নতুন করে ধস নেমে ফের লাইন বন্ধ করে দিতে হয়েছে। পুজোর মরশুমে যেখানে প্রতিটি ট্রেনই ভিড়ে ঠাসা ছিল। সেখানে প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে। পাশাপাশি চেষ্টা করা হচ্ছে যে টয়ট্রেনের লাইন মেরামত করে ২৬ সেপ্টম্বর থেকে যাতে পুরো রুটে ট্রেন চালানো যায়।