স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মদ্য পান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ছিল বিবাদ। তবে তার জেরে জামাইকে বিষ খাইয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হবে? এমনটা ভাবতে পারেননি কেউ। তাও আবার এমন ঘটনার অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন শ্বশুর-শাশুড়ি! ঘটনায় কিছুটা হতবাক এলাকার বাসিন্দারা।
জামাইকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ শ্বশুর-শাশুড়ি বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়া ত্রিনাথপল্লি এলাকায়। তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তিনি এখনও বিপন্মুক্ত নন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইয়ের নাম মনা পোদ্দার। বাড়ি হবিবপুর থানার রতিরাম পাড়া এলাকায়। কয়েক বছর আগে বামন গোলা থানার পাকুয়া ত্রিনাথ পল্লী এলাকার বাসিন্দা বাচ্চু রায়ের মেয়ে লতিকা রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মনা পোদ্দারের।
মনা পোদ্দারের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, মনা মদ্যপান করতো। দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ওই মদ্যপান নিয়ে গোলমাল চলছিল। বাড়িতে প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা করতো বলে অভিযোগ। কারণ যে টাকা উপার্জন করতো সবটাই মদ্যপানের খরচ করত বাড়িতে কোনও খরচ দিত না। আর এই নিয়ে বিবাদ। স্ত্রী বাপের বাড়িতে ছিল।
রবিবার সকালে স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যায় তাদের পরিবারের ছেলে। অভিযোগ এরপর বিষ খাইয়ে তাদের বাড়ির ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে তার শ্বশুর এবং শাশুড়ি। সেখানেই ভাত খেতে দেয়। ভাতের সঙ্গেই সম্ভবত বিষ মেশানো ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই যুবকের পরিবার। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা জানান বাড়িতেই নিজেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে তাদের জামাই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।