মালদার চাঁচলের খানপুরে তৃণমূল নেতা খুন ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গোষ্ঠী কোন্দল না পারিবারিক বিবাদ, নাকি খুনের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে খুনের ঘটনা সামনে আসতেই বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্য়দিকে তৃণমূলের তরফে নিহত নেতার সঙ্গে যত রকমভাবে সংস্পর্শ এড়ানো যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি
নিহতের নাম সেতাবুর রহমান (৪১)। তিনি তৃণমূলের চন্দ্রপাড়া অঞ্চল সহ সভাপতি ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কে বা কারা। বাড়ির কাছে নিয়ে গিয়েই তাঁকে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণের কারণের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেন খুন
তবে কি কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। অন্য়দিকে দলের মধ্যে প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে কোনও রকম সমস্য়া ছিল কি না, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আটক প্রতিবেশী যুবক
প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করে পুলিশ। ধৃত কামালউদ্দিন নিহত সেতাবুরকে কোপায় বলে অভিযোগ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পাল্টা অভিযোগ নিহতের বিরুদ্ধে
কামালউদ্দিনের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, পরিবারের মহিলা সদস্যকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিল তৃণমূল নেতা সেতাবুর রহমান। ঘটনায় বাধা দিলো ধর্ষণ থেকে বাঁচতেই ওই তৃণমূল নেতাকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ।পাশাপাশি ওই গৃহবধূও আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে।
এক মহিলাও চিকিৎসাধীন
ঘটনার চিৎকার চেচামেচি শুনে স্থানীয়রা ছেটে আসতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। ওই মহিলা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। থানায় দুই পক্ষই অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় কামালউদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজনৈতিক তরজা
যদিও এ ব্যপারে জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন,তৃণমূল আর খুন এটা তাদের সংস্কৃতি। তাদের নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে স্থানীয় বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন,এটা নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই।