শিলিগুড়ি দাগাপুর এলাকায় টয় ট্রেনে কাটা পড়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। টয়ট্রেনের মতো ধীরগতির ট্রেনে এ রকম ঘটনা নজিরবিহীন। রেলকর্মী বা স্থানীয়রা মনে করতে পারেননি, এর আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেছে কি না। যেখানে লাইনের উপর গাড়ি পার্ক করে গেলে ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়, সেখানে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল খতিয়ে দেখছে রেল।
মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম বাবলু কুমার শা। তার বাড়ি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৫ নং ওয়ার্ডে। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি একটি বেসরকারি সংস্থায় ডেলিভারির কাজ করতেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি কাজ নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে তাঁর এক সহকর্মী অভিযোগ করেছেন। তবে তা থেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। বিশেষ করে টয়ট্রেনে কাটা পড়ার বিষয়টি অবিশ্বাস্য বলেই মনে করছে সকলে। যদিও মৃতের দু-টুকরো দেহ দেখেও ধন্দ কাটছে না।
উদ্ধার হয় মৃতের মোটর বাইক ও হেলমেট
সোমবার সকালে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন নিয়ে দার্জিলিং যাচ্ছিল টয় ট্রেনটি। সেই সময়ে ঘটে এই দুর্ঘটনা। তবে ঘটনাটি পরিষ্কার কেউ নজর করেছে কি না, তা জানা যায়নি, প্রত্যক্ষদর্শী না পাওয়ায়। এদিন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় প্রধাননগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রেল পুলিশও। এদিন পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। তবে টয়ট্রেনের যেই গতিবেগ তাতে এই ধরনের দুর্ঘটনা নিয়ে ধন্দে রেলের আধিকারিকেরা। ঘটনায় ওই ব্যক্তির দেহ কয়েক টুকরো হয়ে যায়। তাছাড়াও ওই ব্যক্তির মৃতদেহের কাছ থেকে তার হেলমেট এবং মোটর বাইক পাওয়া গিয়েছে।
দুর্ঘটনা মনে করছেন রেল আধিকারিকরা
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ঘটনাটা দুর্ভাগ্যজনক তবে আমাদের প্রাথমিক ধারণা ট্রেনের ইঞ্জিন চলে যাওয়ার পর কোনও কারণে ওই ব্যক্তি ট্রেনের মাঝে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। তা থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ কয়েক মিটার আগে দেখতে পেলেও ট্রেন দাঁড় করানো সম্ভব। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে DHR এর ডিরেক্টর এ কে মিশ্রা বলেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তবে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।