বিবাহ বিচ্ছেদের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসায়ী এক যুবতীর। কিন্তু সেই নতুন সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই কী আত্মঘাতী হলেন ওই যুবতী? এমন সম্ভাবনা দানা বেঁধেছে বলে অভিযোগ। মালদায় সুন্দরী যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধছে।
ঘটনা শুক্রবার সকালে মালদা শহরের দেশবন্ধুপাড়া এলাকায় নিজের বাড়ি থেকেই ওই যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের ঘরের বিছানায় পড়েছিল একটি মোবাইল। আর তাতে লেখা ছিল এক যুবকের সংক্ষিপ্ত অসংলগ্ন কিছু মেসেজ। যার ফলে এই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
এদিন সকালে বিষয়টি জানতে পেরে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে । ওই যুবতীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম নবনীতা ঘোষ (৩৩)। বাড়িতে মা এবং মেয়ে থাকতেন। অনলাইনের মাধ্যমে কাপড়ের ব্যবসা করতেন ওই যুবতী। তার এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকেরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে নবনীতা ঘোষের বিয়ে হলেও দু'বছরের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে দেশবন্ধুপাড়া এলাকার বাড়িতে থাকতেন ওই যুবতী। শুক্রবার সকালে শোওয়ার ঘরের দরজা না খোলায় পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে সে দরজা ভাঙে। এরপরই ঘর থেকে নবনীতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
মৃতের এক আত্মীয় বিপুল কুন্ডু জানিয়েছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে খানিকটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন নবনীতা। অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার সূত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। মোবাইলে মেসেজে বেশ কিছু অসংলগ্ন কথাবার্তা ওই যুবক বলেছে, সেটিও দেখা গিয়েছে। এদিন সকালে মৃতদেহ যখন ঘরের মধ্যে ঝুলছিল। তখন মোবাইলে মেসেজ আসে ওই যুবকের, তাতে লেখা থাকে "সরি" বলে একটি শব্দ। আমাদের ধারণা কোনও রকম কথা-কাটাকাটির জেরে এই ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
এদিকে ইংরেজবাজার তদন্ত থানার তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, কি কারণে যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে মোবাইলের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।