
বগটুই কাণ্ডে (Bogtui massacre) ধৃত প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু (CBI Custody)। রামপুরহাটে সিবিআই-র অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাকে ৬ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।৩ দিনের মাথায় মৃত্যু হল। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে লালনের তা এখনও জানা যায়নি।
গত ২১ মার্চ বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়। তারপরই হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে বগটুই গ্রামে। রাতে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১০ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান। সব অভিযোগ ওঠে ভাদুর অনুগামী ও ছায়াসঙ্গী লালন শেখের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় তদন্তভারত হাতে নেয় সিবিইআই। ঘটনার ৮৯ দিনের মাথায় মোট ১৮ জনের নামে আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা করে সিবিআই। সেখানে লালনের নাম ছিল। তবে সে পালিয়ে গিয়েছিল ঘটনার পরই।
৪ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের পাকুরের নরোত্তমপুর থেকে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেখানে একটি ঝুপড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিল সে। ৪ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ৬ দিন সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন। হেফাজতে লালনকে বীরভূমের রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পে রেখেছিল সিবিআই। ১০ ডিসেম্বর আদালতে পেশ করার পরে তাকে আরও তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে জেরা চলাকালীন লালনের মৃত্যু হয়।