নদীয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ব্রজ ওরফে সোহেল গায়ালি সহ তিন অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সূত্র জানায়, নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছ থেকে ডিএনএ পরীক্ষার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
গণধর্ষণ মামলার তদন্তে নেমে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টকে ব্যবহার করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার রাতে সোহেল, প্রভাকর ও রঞ্জিতকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার বিকেলে নির্যাতিতার বাবা-মাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হবে দিল্লিতে।
অন্যদিকে ভয়ঙ্কর ধর্ষণ ও খুনের মামলার তৃতীয় অভিযুক্তকে শনিবার গ্রেফতার করল সিবিআই। ধৃত রঞ্জিতকে আজ রবিবার আদালতে তোলা হবে। হাঁসখালির ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে পুলিশ যাদের বক্তব্য নিয়েছে তাদের জেরা করবে সিবিআই।
এর আগে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নাবালিকাকে প্রেমিকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে, মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রেমিক যুবকের বিরুদ্ধে। পরে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। ঘটনাটি ঘটে, নদিয়ার হাঁসখালি থানার গাজনা এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রেমিক সোহেল গয়ালি ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক ছিল।অভিযোগ উঠেছিল, মৃত্যুর পর সোহেল গয়ালির পরিবারের চাপে ময়নাতদন্ত না করিয়ে তড়িঘড়ি দেহ শেষকৃত্য করে নাবালিকার পরিবার। অভিযুক্ত যুবকের বাবা গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
একাধিক গ্রেফতার হয় পুলিশি তদন্তে। এরপর মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই অভিযোগের তদন্তও করবে সিবিআই। সেই মতো হাঁসখালি কাণ্ডের দায়িত্ব নেয় সিবিআইয়ের টিম। নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তদের বাড়ি গিয়ে নানান তথ্য সংগ্রহ করে সিবিআই। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই সিবিআই শনিবার রঞ্জিত মল্লিককে রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করে।