মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল অন্ডালে। সন্তানের জন্ম দিতে পারায় গৃহবধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃতের নাম কেয়া গড়াই। বয়স ৪০ বছর। কেয়ার পরিবারের অভিযোগ, সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য নানা ভাবে চাপ দিত, অত্যাচার করল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
কেয়ার উপর লাগাতার অত্যাচার চলত
বছর পাঁচেক আগে কাঁকসা থানার জাটগড়িয়া এলাকার বাসিন্দা কেয়া গড়াইয়ের বিয়ে হয় অন্ডালের ধান্ডাডিহি গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ গড়াইয়ের সঙ্গে। কৃষ্ণ গড়াই পেশায় ইসিএল কর্মী। অভিযোগ, বিয়ের পাঁচ বছরেও কেন সন্তান হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলে কৃষ্ণ ও তাঁর বাড়ির লোকজন কেয়ার মেয়ের ওপর লাগাতার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত। বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা দাবি করা হত বলেও অভিযোগ।
প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিত্সার টাকা চেয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা
মৃত গৃহবধূর কাকা পূর্ণচন্দ্র গড়াইয়ের দাবি, বহু কষ্ট করে তাঁরা মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে হামেশাই টাকা পয়সা চাওয়া হত, অত্যাচার করা হত মেয়ের উপর। মেয়ের সন্তান না হওয়ায় দক্ষিণ ভারতের প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাঁদের কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। কষ্ট করে সেই টাকাও দেওয়া হয়।
খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ
পূর্ণচন্দ্রের কথায়,'মঙ্গলবার সকালে শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকেরা ফোন করে ঘটনাটা জানায়। আমরা গিয়ে দেখি মৃত অবস্থায় উঠোনে নামানো রয়েছে আমাদের কেয়ার দেহ। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানায়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে কেয়া। কিন্তু আমাদের সন্দেহ, ওকে মেরেই ফেলা হয়েছে। আমরা তদন্ত চাই।'