
Kacha Badam : আর বাদাম বিক্রি করবেন না কাঁচা বাদাম (Kacha Badam)খ্যাত "বাদাম কাকু" হিসাবে পরিচিত বীরভূমের ভূবন বাদ্যকর। পেশা ছাড়লেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রথমবার ভূবন বাদ্যকরের গানের কপিরাইট হল। ইলামবাজারের গোধূলিবেলা মিউজিক সংস্থা এদিন কপিরাইটের দেড় লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন ভূবনবাবুর হাতে৷ বাদাম বিক্রি করতে করতে প্রথম গান ধরেছিলেন ভূবন বাদ্যকর৷ সেই গানের ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক দুনিয়ায় ছড়িয়ে যায়৷ গানটি জনপ্রিয়তার নিরিখে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ভাইরাল হয় বিদেশেও। ভারতের চলচ্চিত্র জগতের তারকা থেকে শুরু করে বিদেশি পপ তারকারা বাদাম গানে নাচ করে সোশ্যাল সাইটে রীতিমতো ভাইরাল।
কাঁচা বাদামের কপিরাইট (kacha badam copyright sold)
এবার বীরভূমের এই ভূবন বাদ্যকরের গানের কপি রাইট হল। ইলামবাজারের গোধূলিবেলা মিউজিক সংস্থা তাঁর গানের কপিরাইট নেন৷ তাতে সাক্ষর করেন ভূবন বাবু৷ এদিন সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁর হাতে দেড় লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়৷ বোলপুরের সুভাষপল্লীতে এসে ভূবন বাদ্যকর জানান, তিনি আর বাদাম বিক্রি করবেন না৷
অর্থাৎ, নিজের পেশা ছাড়লেন তিনি৷ ভূবন বাবু বলেন, "আর বাদাম বিক্রি করব না৷ বাদাম বিক্রি করতে গেলে খুব সমস্যায় হয়৷ লোকজন ঘিরে ধরে ছবি তোলে।" খোশমেজাজে তিনি আরও বলেন, "বিদেশ থেকেও অনেক ফোন আসে৷ আমাকে নিয়ে যেতে চায়৷ কিন্তু, বাংলাদেশে কোন দিন যাব না। বাকি সব জায়গায় যাব৷ বাংলাদেশে গেলে বউ মারবে৷ বউ পছন্দ করে না আমি বাংলাদেশ যাই৷ অন্য মেয়েদের সঙ্গে নাচ গান করলে বউ রেগে যায়।"
কী জানালেন ভূবন বাদ্যকার
গোধূলিবেলা মিউজিক সংস্থার পক্ষ থেকে গোপাল ঘোষ বলেন, "ভূবন দার গান নিয়ে সোশ্যাল সাইটে সবাই রোজগার করছেন৷ ভূবন দা টাকা পাচ্ছে না৷ তাই আমরা কপিরাইট করে নিলাম। সেই টাকা ভূবন দাই পাবে৷ আজ দেড় লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলাম কপিরাইটের।" জানা গিয়েছে, মোট ৩ লাখ টাকায় কপিরাইট তুলে দেওয়া হয়েছে ওই সংস্থার হাতে। দীর্ঘদিন ধরে ভুবন বাদ্যকার অভিযোগ করে আসছিলেন যে তাঁর গান সবাই ব্যবহার করছেন। কিন্তু কেউ কপিরাইট করেননি। অবশেষে কোনও সংস্থার পক্ষ থেকে কাঁচা বাদাম গানের কপিরাইট করা হল। আর তার জন্য টাকা পেলেন ভুবন বাদ্যকার।