জলেও লকডাউন !
আচমকা জলেও লকডাউন(Lock Down)! তাহলে মরশুমি ইলিশ(Hilsa) মিলছে না কেন? উত্তর নেই কোথাও। প্রায় এক-দেড় বছর ঠিকমতো ইলিশ ধরা হয়নি। ফলে নদী নালাতে উপচে পড়বে সামুদ্রিক ইলিশ। এমনটাই আশা করা গিয়েছিল। অথচ প্রতিদিনই ইলিশ ধরার ট্রলার(Trawler) গিয়ে ফিরে আসছে প্রায় খালি হাতেই। সামান্য যে কটা উঠেছে তা নগণ্য।
লাভের গুড় পিঁপড়েয়
বাংলাদেশে তবু মিলছে ইলিশ, পশ্চিম বাংলার ইলিশের ট্রলার কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, ফ্রেজারগঞ্জ থেকে বার তিনেক ঢুঁ মেরে ফিরে এসেছে শূণ্য হাতে। এক একবার ট্রলার নিয়ে যাওয়ার খরচ প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকা। ফলে গিয়ে খালি হাতে ফিরলে লাভের গুড় পিঁপড়েয় খাবে দূরেরর কথা, ঘটি বাটি বিক্রির জোগাড়।
মিলছে কাঁকড়া, চিংড়ি, লোটে
বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলার ঘুরে এসেছে বাঘের চর পর্যন্ত। কিন্তু বিক্ষিপ্ত দু-একটি ছাড়া ইলিশ মেলেনি। কাঁকড়া, চিংড়ি, মাছের ট্রলার ঘরে ফিরে এসেছে। তা সত্বেও ইলিশ মেলেনি। এবারে অনুকূল পরিবেশ থাকলেও বাংলাদেশে কিংবা মায়ানমারের দিক থেকে মাছ ঢুকছে। কিন্তু কাকদ্বীপ থেকে প্রায় ২ হাজার ট্রলার সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারপরও মিলছে না রুপোলি ফসল।
পূবালি হাওয়া নেই
কিন্তু আবহাওয়া অনুকূল হলেও কেন মাছ মিলছে না তা নিয়ে চুলচেরা কোন হদিশ করতে পারছেন না কেউ। সম্ভবত পূবালি হাওয়া না আসার কারণেই ইলিশ আসছে না। তাই জলের স্রোত বইছে বাংলাদেশের দিকে। তাই পদ্মা মেঘনাতে ইলিশ মিললেও এ রাজ্যের ঘাটে ভিড়ছে না ইলিশ।
ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার জোগাড়
এমন চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা মার খাবে। যাঁরা সারা বছর ইলিশের উপর নির্ভর করে ব্যবসা করেন সারা বছরের। তাঁদের কাছে এখন স্বর্ণ সময়। কিন্তু মাছ না মিললে জমাবেন বা কি, বেচবেন বা কী! জানেন না কেউ। উল্টো রথের লপর পূবালি হাওয়া আসতে পারে বলে অনুমান করছেন অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীরা। শেষ আশা ওটাই। তারপরও না মিললে অনেকের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে।