Advertisement

মণিকর্ণিকা ঘাটের সঙ্গে সুড়ঙ্গ যোগ এই সতীপীঠের, পড়ুন কঙ্কালীতলার ইতিহাস

বীরভূমের (Birbhum) কঙ্কালীতলা (kankalitala), ৫১ সতীপীঠের (sati Pith) অন্যতম প্রধান এই স্থান। কথিত আছে এখানে সতীর কাঁকাল বা কোমর পড়েছিল। তার থেকেই এই নামকরণ। এছাড়াও এই সতীপীঠ ঘিরে রয়েছে আরও বহু কাহিনী ও বিশ্বাস। যা এই স্থানকে ভক্তদের মনে এক বিশেষ জায়গা করে দিয়েছে। সাধারণ সময় মায়ের টানে এখানে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা। তবে করোনা আবহে অবশ্য পরিস্থিতি অন্য। তাই এই পরিস্থিতিতে বেশকিছু সতর্কতা নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষও। আসন্ন কালীপুজোয় সেই সমস্ত নিয়মাবলি আরও কড়া ভাবে মেনে চলা হবে বলেই জানাচ্ছেন মন্দিরের সেবাইত শৌভিক চৌধুরী। 

মায়ের ছবিমায়ের ছবি
Aajtak Bangla
  • সিউড়ি,
  • 09 Nov 2020,
  • अपडेटेड 7:43 AM IST
  • মায়ের কাঁকাল পড়েছে, সেই অনুসারে নাম কঙ্কালীতলা
  • কঙ্কালীতলার কুণ্ড সুড়ঙ্গ পথে যুক্ত কাশীর সঙ্গে
  • কুণ্ডের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চশিব

প্রীতম ব্যানার্জী

বীরভূমের (Birbhum) কঙ্কালীতলা (kankalitala), ৫১ সতীপীঠের (sati Pith) অন্যতম প্রধান এই স্থান। কথিত আছে এখানে সতীর কাঁকাল বা কোমর পড়েছিল। তার থেকেই এই নামকরণ। এছাড়াও এই সতীপীঠ ঘিরে রয়েছে আরও বহু কাহিনী ও বিশ্বাস। যা এই স্থানকে ভক্তদের মনে এক বিশেষ জায়গা করে দিয়েছে। সাধারণ সময় মায়ের টানে এখানে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা। তবে করোনা আবহে অবশ্য পরিস্থিতি অন্য। তাই এই পরিস্থিতিতে বেশকিছু সতর্কতা নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষও। আসন্ন কালীপুজোয় সেই সমস্ত নিয়মাবলি আরও কড়া ভাবে মেনে চলা হবে বলেই জানাচ্ছেন মন্দিরের সেবাইত শৌভিক চৌধুরী। 

এই মন্দিরের সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ঠ হল, এখানে কোনও মাতৃ বিগ্রহ বা প্রতিমা নেই। এখানে পুজো হয় মায়ের ছবিতে। জানা যায়, সতীর কাঁকাল রয়েছে একটি কুণ্ডের মধ্যে। এপ্রসঙ্গে শৌভিকবাবু জানাচ্ছেন, "কথিত আছে ওই কুণ্ড ৩টি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছে কাশীর মণিকর্ণিকা ঘাটের সঙ্গে। তার মধ্যে একটি দিয়ে বছরভর জল আসে ওই কুণ্ডে। আর সে কারণেই কখনও শুকোয় না কঙ্কালীতলার কুণ্ড। তবে মায়ের ইচ্ছা অনুসারে প্রতি ১৯-২০ বছর অন্তর একবার করে শুকিয়ে যায় কুণ্ডটি। আর ঠিক সেই সময় যেকোনও কারণেই হোক বন্ধ হয়ে যায় মণিকর্ণিকা ঘাটও। আবার পুজো পাঠের পরে রাতারাতি জলে ভরে যায় কুণ্ড"। শৌভিকবাবু আরও জানাচ্ছেন, "ওই কুণ্ডের মধ্যে রয়েছে পঞ্চশিব। প্রতিবছর একবার করে সেই পঞ্চশিবকে তুলে আনা হয়। পুজোর পর পয়লা বৈশাখে দিন ফের কুণ্ডে রাখা হয় পঞ্চশিবকে"।মন্দির চত্বরে রয়েছে ৫ ধরনের পাতা বিশিষ্ঠ একটি গাছ বা পঞ্চবৃক্ষ। সেই গাছে মনস্কামনা জানিয়ে ঢেলা বাঁধেন ভক্তরা। আর মনস্কামনা পূর্ণ হলে খুলে ফেলা হয় সেই ঢেলা। আবার ওই গাছেরই একটি অংশ প্রাকৃতিক ভাবেই শিবলিঙ্গের আকার ধারণ করেছে বলেও জানালেন তিনি। 

আরও পড়ুন

সাধারণ সময় সারাবছরই এখানে পুজো দিতে আসেন ভক্তরা। তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা। করোনা কালে একদিকে যেমন কমেছে ভক্তের ভিড়, অন্যদিকে তেমনই বেশকিছু সতর্কতা অবলম্বন করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষও। শৌভিকবাবু জানাচ্ছেন,"মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুজোর সময় মাস্ক পড়তে হচ্ছে পুরোহিতকেও"। এছাড়া সাধারণ ভক্তদের মধ্যে এবছর ভোগ বিতরণ করা হবে কি না, সেবিষয়েও এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানালেন তিনি। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement