Advertisement

হস্টেলে ছাত্রকে মারধর, হচ্ছিল বাসন মাজানোও; ডালখোলায় সাসপেন্ড ৩ সিনিয়র ছাত্র

স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের  শিকার অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য জেলাজুড়ে। ওই পড়ুয়ার অভিভাবক বিদ্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির তিন ছাত্র অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে র‍্যাগিং করে।

হস্টেলে ছাত্রকে মারধর, হচ্ছিল বাসন মাজানোও; ডালখোলায় সাসপেন্ড ৩ ছাত্রহস্টেলে ছাত্রকে মারধর, হচ্ছিল বাসন মাজানোও; ডালখোলায় সাসপেন্ড ৩ ছাত্র
Aajtak Bangla
  • ডালখোলা,
  • 10 Sep 2023,
  • अपडेटेड 5:46 PM IST
  • ডালখোলায় স্কুলের হস্টেলে
  • ছাত্রকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ
  • সাসেপেন্ড ৩ সিনিয়র ছাত্র

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ও ছাত্রমৃত্যু নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তার মধ্যেই একাধিক স্কুল-কলেজ হস্টেলে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা সামনে এসেছে। এবার উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার একটি স্কুলের হস্টেলে র‍্যাগিংয়ের অফভিযোগ উঠেছে। শুধু অভিযোগই নয়, এর ফলে ৩ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের  শিকার অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য জেলাজুড়ে। ওই পড়ুয়ার অভিভাবক বিদ্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির তিন ছাত্র অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে র‍্যাগিং করে।

কী অভিযোগ?

আরও পড়ুন

গত রবিবার ওই ছাত্রের বাবা ছেলেকে স্কুলের হস্টেলে রেখে আসেন। অভিযোগ, ওই রাতেই রণজিতকে ডেকে পাঠায় হস্টেলের ক্লাস টেনের তিন ছাত্র। তাদের এঁটো বাসন মাজতে বলে তাকে। এরপর বাসন মাজা ঠিক হয়নি বলে এবং আরও নানা অজুহাতে ওই ছাত্রের উপরে চলে অত্যাচার। মারধর সহ অশ্লীল আচরণও করা হয়। এরপর ওই ছাত্র হস্টেল সুপারকে অভিযোগ জানায়। এরপর অভিযোগ করা হয়েছে কেন, তা নিয়ে আবার মারধর করা হয়। এরপর বিষয়টি ওই ছাত্র বাড়িতে বাবাকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়েই ছাত্রের বাবা আরও কয়েকজনকে নিয়ে ছুটে যান বিদ্যালয়ে। হস্টেল সুপার ও অধ্যক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানান। এরপর ছেলেকে নিয়ে ইটাহারের বাড়িতে চলে আসেন। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।

কেমন অত্যাচার?

নির্যাতিত ছাত্রের এক আত্মীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘সেখানে গিয়ে দেখি রণজিতকে গালে, পেটে ও পিঠে মারা হয়েছে। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ রয়েছে। এরপরই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর বিদ্যালয় কতৃপক্ষ ওই তিন ছাত্রকে সাসপেন্ড করে। কিন্তু ওই তিন পড়ুয়া ছাত্রকে হুমকি দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে ওকে নিয়ে চলে এসেছি। আমরা চাই ওদের কঠোর শাস্তি হোক।‘

ছাত্রের দাবি

ওই ছাত্র সাংবাদিকদের সামনে জানিয়েছে, অভিযুক্ত সিনিয়র ছাত্ররা তার কাছে খাবার চায়। খাবার নেই বলে জানালে বাসন মাজায়। এরপর নানা অজুহাতে তাকে মারতে থাকে বলে অভিযোগ। স্যরকে লিখিতভাবে জানালে আবার মারধর করে তারা। সে আর ওখানে যেতে চাইছে না। যদিও এই বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায়নি।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement