Malda Mystery Death Of Couple: নিজেদের শোওয়া ঘর থেকে উদ্ধার দম্পতির দেহ। বিছানায় স্ত্রীর মৃতদেহ পড়েছিল, অন্যদিকে ওই ঘরেই সিলিংয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বামীর দেহ। মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনি থানার গোবর্ধনটোলা এলাকায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে। পরিবারের লোকজনই বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে জোড়া লাশ উদ্ধার করে। স্বামী-স্ত্রীর এভাবে মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির প্রথম স্ত্রীও আত্মঘাতী হয়েছিলেন। ফলে আরও পাকিয়েছেন জট।
পরিবারের লোকজনের দাবি, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তেমন কোনও বিবাদের কথা কেউই জানতেন না। মৃত প্রিয়াঙ্কার মা পার্বতী মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "মেয়ে জামাইয়ের মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল না। তবে মেয়ের শ্বশুর মাঝে মধ্যে নানা অশান্তি করত। মেয়ে নিজেই একথা জানিয়েছিল। এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি।"
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পিন্টু পাল। স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তাঁর দু'বছর আগে বিয়ে হয়। তার আগে প্রথম স্ত্রীও আত্মঘাতী হয়েছিলেন। পিন্টু পেশায় মাটির জিনিসের ব্যবসা করতেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের ২ মাসের একটি সন্তানও রয়েছে। পিন্টুবাবুরা স্বামী-স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও শ্বশুরও একসঙ্গেই থাকতেন। মৃত পিন্টুর বাবা মন্টুবাবু জানিয়েছেন, রাতে শোবার ঘর থেকে বাচ্চার চিৎকার শুনতে পান তিনি। খোঁজ নিতে গেলে নাতিকে আমার কোলে দিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।কিছুক্ষণ পর নাতিকে দেওয়ার জন্য ছেলে-পুত্রবধূর ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও ঘর খোলে না। এমনকী কেউ উত্তরও দেয়নি। এরপরে দরজা ধাক্কাতেও সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে ফেলেন তিনি। এরপরই দুজনকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে মৃত্যুর ঘটনার প্রাথমিক সূত্র মিলতে পারে।