মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় দলেরই টাউন সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি তৃণমূলের ইংরেজবাজার শহর সভাপতি ও ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর। নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ছাড়াও এই খুনের ঘটনায় স্বপন শর্মা নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মালদা জেলা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দুলাল সরকার খুনে মঙ্গলবার নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার কয়েক দফায় ওই নেতাকে ইংরেজবাজার থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। থানায় ডেকে পাঠানো হয় নরেন্দ্রনাথের দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং অখিলেশ তিওয়ারিকেও। তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। পরে রাতেই গ্রেফতার করা হয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে।
নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এর আগে অবশ্য দাবি করেন, এই ঘটনায় আমাদের বাড়ির কেউ জড়িত নন। আমরা পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করছি। মঙ্গলবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বপন শর্মা নামে তৃণমূলের আরেক নেতাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ধৃত ৫ জনের বয়ানের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে নরেন্দ্রনাথকে। মালদার জেলা সহ সভাপতি দুলাল সরকার খুনে এখনও পর্যন্ত ২ শার্প শ্যুটার-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ২২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। ২০২২-এর পুরসভা ভোটের পর নরেন্দ্রনাথ, তাঁর ভাই-সহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে দুলাল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সেই পুরনো শত্রুতার জেরেই কি খুন হলেন দুলাল সরকার? সেই নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে প্রথম থেকেই উঠে আসছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের তত্ত্ব। তৃণমূলেরই কেউ এই খুন করিয়েছে বলে প্রকাশ্যে দাবি করেন মতের স্ত্রী। এর পর মঙ্গলবার শহর তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও তাঁর ২ ভাইকে তলব করে পুলিশ। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ইংরেজবাজার থানায় পৌঁছন তাঁরা। এর পর নরেন্দ্রনাথকে টানা জেরা শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা।
সংবাদদাতাঃ মিল্টন পাল