Mysterious death At Siliguri: গ্রুপ ডি পদে চাকরি যাওয়া এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়িতে। মৃত ব্যক্তির নাম দিলীপ বিশ্বাস। কোচবিহার জেলার একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। ২০১৯ সালের গ্রুপ ডি পদে বাতিল কর্মরত প্রার্থীদের মধ্যে নাম ছিল ওই ব্যক্তির। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে যদি অভিযোগ জানানো হয় তবে অবশ্যই পুলিশ তদন্ত করবে।”
আরও পড়ুনঃ একদম অজানা গ্রাম কালিম্পংয়ের লাংসেল 'স্বর্গ', কীভাবে যাবেন-কত খরচ?
মৃত ব্যাক্তির বাড়ি আদতে জলপাইগুড়িতে। তিনি দীর্ঘ বছর থেকে শিলিগুড়িতেই থাকতেন। কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি দাড়িপট্টনী উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ছিলেন দিলীপ বিশ্বাস। বাতিল তালিকায় নাম উঠেছিল তাঁর। দিলীপের আদি বাড়ি জলপাইগুড়ি মরিচবাড়ি এলাকায়। তবে শিলিগুড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। বহু বছর ধরেই জলপাইগুড়ির বাড়ির সঙ্গে তেমন কোনও যোগাযোগ ছিল না বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ির বাড়ি থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তবে তার শরীরে কোনও আঘাত বা অন্য কোনও অস্বাভাবিক চিহ্ন মেলেনি।
যে বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক সন্তোষ ভট্টাচার্য জানান, রবিবার রাতে একজন মহিলা ঘরের সামনে এসে দিলীপকে ডাকাডাকি করছিলেন। কিন্তু বারবার ডাকাডাকি করলেও দিলীপের সাড়াশব্দ মেলেনি। অবশেষে পাড়ার কাউন্সিলরকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। পেছনের জানালা ভেঙে ঘর থেকে দিলীপের দেহ উদ্ধার হয়।দিলীপবাবুর দাদা দীনবন্ধু বিশ্বাসের দাবি, চাকরি চলে যাওয়ায় মানসিক অবসাদের কারণেই হয়ত মৃত্যু হয়েছে দিলীপের। দিলীপের ভাই সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, ‘‘বহু বছর ধরেই বাড়ির সঙ্গে সেভাবে কোনও যোগাযোগ নেই। তবে চাকরি চলে গিয়েছে শুনেছি৷ হয়ত সেই কারণেই মৃত্যু। আমরা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। কাকে টাকা দিয়েছিল তা নিয়ে সঠিক তদন্ত দাবি করেন তিনি।
যদিও এই ব্যক্তি গ্রুপ ডি পদে কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, সে সম্বন্ধে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি পরিবারের লোকজন। তবে তাঁর মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের রিজিওনাল লেভেল সিলেকশন টেস্টের ভিত্তিতে গ্রুপ ডি পদে কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছিল।