Advertisement

Gorumara Animal Missing: বন্যার জলে ভেসে গরুমারায় নিখোঁজ বহু প্রাণী, হিসেব মেলাতে হিমশিম বনদফতর

গত সোমবার থেকে গরুমারা ও লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে চারটি হরিণ, একটি বুনো শুয়োর, বেশ কয়েকটি বাইসন ও একটি গন্ডারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলঢাকা নদীর পলিতে এখনও বহু বন্যপ্রাণীর দেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে।

বন্যার জলে ভেসে গরুমারায় নিখোঁজ বহু প্রাণী, হিসেব মেলাতে হিমশিম বনদফতরবন্যার জলে ভেসে গরুমারায় নিখোঁজ বহু প্রাণী, হিসেব মেলাতে হিমশিম বনদফতর
Aajtak Bangla
  • 10 Oct 2025,
  • अपडेटेड 12:35 PM IST

Gorumara Animal Missing: বন্যার জলে ভেসে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে একাধিক প্রাণী নিখোঁজ। এখন একের পর এক বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ছিল, তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বুধবার বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে গরুমারা থেকে ভেসে যাওয়া একটি পূর্ণবয়স্ক মাদি গন্ডারের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে আরও একটি গন্ডারের মৃতদেহ মিলেছিল। এখনও অন্তত একটির হদিশ মেলেনি। বন দফতরও স্পষ্ট করে বলতে পারছে না, কতগুলি গন্ডার নিখোঁজ।

এদিন জলঢাকা নদীর বিভিন্ন এলাকায় আরও পাঁচটি বাইসনের দেহ উদ্ধার হয়, তিনটি ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভাণ্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদেশিপাড়ায়, একটি ছোবারবাড়িতে এবং একটি আমগুড়ি খাটোরবাড়িতে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিণ ও বুনো শুয়োরেরও বহু মৃত্যু হয়েছে, যার সঠিক হিসেব এখনো জানা যায়নি।

গত সোমবার থেকে গরুমারা ও লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে চারটি হরিণ, একটি বুনো শুয়োর, বেশ কয়েকটি বাইসন ও একটি গন্ডারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলঢাকা নদীর পলিতে এখনও বহু বন্যপ্রাণীর দেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন

বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, “গরুমারার বাফার জোনে কিছু গন্ডারকে দেখা গিয়েছে। তবে অন্তত একটি গন্ডার এখনও নিখোঁজ।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার উত্তাল জলঢাকা নদী পার হতে দেখা গিয়েছিল একটি গন্ডারকে, সেটি নিরাপদে পেরোতে পেরেছিল কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।

বাংলাদেশে উদ্ধার হওয়া গন্ডার সম্পর্কে উত্তরবঙ্গের বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভাস্কর জে.ভি. সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ওই গন্ডারটির দেহ গরুমারায় আনা হবে না। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” গরুমারায় গত মার্চ মাসে গন্ডার শুমারি হয়েছিল। তখন সংখ্যা ধরা হয়েছিল ৬১। তার পর বেশ কয়েকটি গন্ডারের জন্ম হয়। এবার বন্যায় সেই নবজাতক শাবকদের কী পরিণতি হয়েছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। হাতি ও হস্তীশাবকদের অবস্থাও অজানা। জঙ্গলের ভেতরে পলি জমে টহলদারি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নজরদারিতেও সমস্যা হচ্ছে।

পরিবেশপ্রেমী মহলের দাবি, গরুমারার গন্ডার ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর প্রকৃত সংখ্যা জানতে অবিলম্বে নতুন করে সমীক্ষা প্রয়োজন। ময়নাগুড়ি রোড পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু রায় বলেন, “এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বন্যপ্রাণের ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, তা জানার একমাত্র উপায় দ্রুত সমীক্ষা।”

 

Read more!
Advertisement
Advertisement