Malda Man Attacks Neighbor Lady: প্রতিবেশীর সুন্দরী স্ত্রীতে মনে মজেছিল। শুধু দেখা আর ভাললাগাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি মনের ইচ্ছে। মনের মধ্যে থাকা কু-প্রস্তাব প্রকাশ্যে এনে তা জানিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। কিছুতেই এমন কাজে মন সায় দেয়নি বধূর। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তিনি এমন কোনও কাজ করতে পারবেন না। তাতেই পুরুষালি ইগোতে ঘা লাগে যুবকের। রাতের অন্ধকারে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুবক। মহিলার চোখ ইঁট দিয়ে থেঁতলেও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন স্বামীও। এমনকী হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়েকেও।
আরও পড়ুনঃ একদম অজানা গ্রাম কালিম্পংয়ের লাংসেল 'স্বর্গ', কীভাবে যাবেন-কত খরচ?
ঘটনাটি ঘটেছে, মালদহের ইংরেজবাজারের অমৃতি এলাকায়। আক্রান্ত গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত প্রতিবেশী। ঘটনায় ব্য়াপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি করেছেন তাঁরা।
অভিযোগ, ওই বধূকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন প্রতিবেশী ওই যুবক। নাম পরেশ কর্মকার, পেশায় কাঠমিস্ত্রি। আকারে ইঙ্গিতে নানাভাবে তাঁকে কু-প্রস্তাব দেওয়া র চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম বিষয়টিকে তেমন আমল না দিয়ে এড়িয়ে যান। এতে ক্ষোভ তৈরি হয় ওই যুবকের মধ্যে। এরপর উল্টো ওই বধূর নামে নানা রকম বদনাম রটানো হয় বলে জানান তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রতিবাদ শুরু করে ওই মহিলা। অভিযুক্তকে সতর্কও করেন তিনি।
কিন্তু, এতে আরও ক্ষেপে ওঠে ওই যুবক। রাতের অন্ধকারে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে চলে অতর্কিত হামলা। মহিলার চোখ ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। মহিলার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্বামী। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই অন্ধকারের সুযোগে তাঁর ওপরও হামলা চালানো হয়। হেনস্থা হওয়ার হাত থেকে রেহাই পায়নি উচ্চচ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বাড়ির মেয়েও। হইচই শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তখন ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় পরেশ। স্থানীয়রাই স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবকেরও খোঁজ চলছে। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।