Mathabhanga Accident Death: ভয়াবহ ও মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৪ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ৩ জন। রবিবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গার মাঝিরবাড়ির ঘটনা। মৃত এবং জখম প্রত্যেকের বাড়ি ভোগরামগুড়ি এলাকায়। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন রাতে জামালদহের দিক থেকে আসা একটি টোটোয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। দুর্ঘটনায় রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যাত্রীবোঝাই টোটোটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টোটো আরোহী এক মহিলা যাত্রীর। বাকিদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জামালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আরও তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। মেনকা বর্মণ (৩৫), অনিতা বর্মণ (৩২) এবং মানসী বর্মণ (১২) নামে ৩ জনকে মৃত বলে জানান করে চিকিসকরা। ওই দুর্ঘটনায় অভিজিৎ বর্মণ, রবি বর্মণ নামে ৯ বছরের ২ শিশু এবং প্রশান্ত বর্মণ নামে এক যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জখম বাকি ৩ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও চালক পলাতক। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুনঃ হোলিতে ডুয়ার্সের একাধিক জঙ্গল বন্ধ, তাহলে কোথায় যেতে পারেন ?
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেখলিগঞ্জের জামালদহে কীর্তনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সকলে। অনেক রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠানে কাটান তাঁরা। এরপর বেশ রাতে সেখান থেকে টোটোতে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মাঝিরবাড়ি এলাকায় আসতেই সামনে থেকে আসা একটি ট্রাক দ্রুত গতিতে আসছিল, আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। ট্রাকের ধাক্কায় টোটোটি ছিটকে পড়ে। টোটোটি দুমড়ে যায়। সকলেই ছড়ি মাথাভাঙ্গার মাঝিরবাড়ির ঘটনা৷ আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে জামালদহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ৷
এর আগেও এই রাস্তায় বিশেষ করে রাতের দিকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তায় পুলিশি প্রহরা দেওয়া হোক। পুলিশ পিকেট, বা চৌকি থাকলে বেপরোয়া গাড়ি চালাতে ভয় পাবে চালকরা। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা জানিয়েছেন, হতাহতরা প্রত্যেকে মাথাভাঙার ভোগরামগুড়ি এলাকার বাসিন্দা। ট্রাকটিকেও পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত।