Advertisement

Siliguri Suicide Case: স্বামীর পরকীয়া সন্দেহ, গৃহবধূর সুইসাইড, RAF নামাতে হল, কী ঘটেছে শিলিগুড়িতে?

Siliguri Suicide Case: মৃত্যুর খবর ছড়াতেই এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মৃতার পরিবারের সদস্য ও বহু স্থানীয় বাসিন্দা অভিযুক্ত গৃহবধূর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ব্যাপক ভাঙচুর থেকে শুরু করে লুটপাট, সবই হয় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতেই বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্বামীর পরকীয়া সন্দেহে আত্মঘাতী গৃহবধূ, শিলিগুড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট, জোড়া মামলা পুলিশেরস্বামীর পরকীয়া সন্দেহে আত্মঘাতী গৃহবধূ, শিলিগুড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট, জোড়া মামলা পুলিশের
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 12 Dec 2025,
  • अपडेटेड 4:17 PM IST

Siliguri Suicide Case: শিলিগুড়ির উত্তর শান্তিনগরে স্বামীর পরকীয়া সন্দেহকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর ওপর পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন এক গৃহবধূ। অভিযোগ, পাশের বাড়ির মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়েই দুই বছরে বারবার অশান্তি চলছিল দাম্পত্যে।

গত মঙ্গলবার ঝগড়ার মধ্যেই বিষ পান করেন ওই গৃহবধূ। প্রথমে তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেবক রোডের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হলে বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই মৃতার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।

এদিকে, মৃত্যুর খবর ছড়াতেই এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মৃতার পরিবারের সদস্য ও বহু স্থানীয় বাসিন্দা অভিযুক্ত গৃহবধূর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ব্যাপক ভাঙচুর থেকে শুরু করে লুটপাট। সবই হয় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতেই বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন

ঘটনার সূত্রপাত হতেই অভিযুক্ত গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী বাড়ি ছেড়ে পালান। তবে তাদের মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য বাড়িতেই আটকে পড়েছিলেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

প্রতিবেশী দম্পতির মেয়ের অভিযোগ, ‘দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল। পাড়ার কিছু লোক ভুলভাল কথা রটিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ করেছে। ওই মহিলা বিষ খেয়েছে শোনার পরে আমার পরিবারের লোকজনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসার সব খরচ দিয়েছেন আমার কাকা। কিছু মানুষের উস্কানিতে বহিরাগত দুষ্কৃতী এসে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে।’ অন্যদিকে মৃতার বড় মেয়ের অভিযোগ, ‘আমরা বার বার ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে মানা করেছিলাম। ওরা মাকে জোর করে সেখানে নিয়ে গিয়েছে। যেই মহিলা ও তার পরিবার আমার মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের প্রত্যেকের শাস্তি চাই।’

 

Read more!
Advertisement
Advertisement