Advertisement

Real Flower With Fake Colour Will Be Sold In Siliguri: ফুলের রং, চেহারা বদলে যাচ্ছে মাত্র ৩ ঘণ্টায়, 'আজব কাণ্ড' শিলিগুড়িতে

Real Flower With Fake Colour Will Be Sold In Siliguri: শিলিগুড়িতে বিক্রি হবে 'নকল রংয়ে আসল ফুল'; ৩ ঘন্টায় বদলে যাচ্ছে ফুলের চেহারা। রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ সহ নানা প্রজাতির ফুলের রং স্থায়ীভাবে বদলে দেওয়া হচ্ছে। আর এই নানা রংয়ের ফুল বিক্রি করে স্বনির্ভর হওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

শিলিগুড়িতে বিক্রি হবে 'নকল রংয়ে আসল ফুল'; ৩ ঘন্টায় বদলে যাচ্ছে ফুলের চেহারাশিলিগুড়িতে বিক্রি হবে 'নকল রংয়ে আসল ফুল'; ৩ ঘন্টায় বদলে যাচ্ছে ফুলের চেহারা
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 27 Feb 2023,
  • अपडेटेड 8:02 PM IST
  • শিলিগুড়িতে বিক্রি হবে 'নকল রংয়ে আসল ফুল
  • ৩ ঘন্টায় বদলে যাচ্ছে ফুলের চেহারা
  • স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

Real Flower With Fake Colour Will Be Sold In Siliguri: উত্তর-পূর্ব ভারতের শিলিগুড়ি শহরে এই প্রথমবার মিলতে চলেছে বিভিন্ন রঙের রজনীগন্ধা ফুল। শুধু রজনীগন্ধাই নয় রংবেরঙের চন্দ্রমল্লিকা , গোলাপ সহ নানা প্রজাতির ফুল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি বিভাগের পক্ষ থেকে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এই কর্মশালায় মহিলাদের স্বনির্ভর করতেই কৃত্রিম উপায়ে ফুল রং করার পদ্ধতি শেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশা, এই পদ্ধতে মহিলারা স্বনির্ভর হতে পারবেন। পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হবে তাঁদের পরিবার।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই পদ্ধতিকে নিয়ে গবেষণা করে কীভাবে মহিলাদের এই পদ্ধতিকে শিখিয়ে স্বনির্ভর করা যায় তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া শুরু করে। সেইমত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের কোফামের তরফে সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হবার পর শুক্রবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার মানুষদের নিয়ে এই বিষয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এই কর্মশালাতে ডাকা হয়েছিল ভারতের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম জনজাতিগোষ্ঠী ধিমল সম্প্রদায়ের মহিলাদেরও।

আরও পড়ুন

এদিন প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের হল ঘরে বিভাগীয় প্রধান ডক্টর রণধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে স্লাইড শোয়ের মাধ্যমে দেখানো হয় কীভাবে যে কোনও ধরনের সাদা কিংবা হালকা রঙের ফুলকে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রঙিন করা যাবে। এরপরই সেই পদ্ধতি আলোচনা করার পর কর্মশালায় আসা বিভিন্ন এলাকার মহিলাদের হাতে-কলমে পদ্ধতি শেখাতে ডিপার্টমেন্টের কোফামের ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের সমস্ত পদ্ধতি প্র্যাকটিক্যালি শেখানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মহিলারা এই পদ্ধতি শিখে সামান্য টাকা ব্যয় করে এই ধরনের রঙিন ফুল বাজারে বিক্রি করতে পারলে মহিলারা ঠিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে।

জানা গিয়েছে যে কোনও ধরনের সতেজ সাদা কিংবা হালকা ধরনের ফুলকে বাজার থেকে নিয়ে এসে ফুলের ডালটিকে নীচের দিকে কিছুটা আড়াআড়ি ভাবে কেটে তাতে পরিমাণ মতো জল এবং রং মিশ্রণ করে তার মধ্যে ফুলটি রেখে দিলে প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে ফুলের রংটি পাল্টে যাবে। এই ক্ষেত্রে ফুলের রং করার ক্ষেত্রে খাবারের রং ব্যবহার করা যেতে পারে। তা না হলেও যেকোনো ধরনের সবজি ও ফল  পাতার থেকেও রং বের করেও ফুল রঙিন করা যেতে পারে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের কোফামের তরফে অমরেন্দ্র কুমার পান্ডে বলেন, কৃত্রিমভাবে রংয়ের জলে চুবিয়ে নীল ও সবুজ রঙের ফুল বিক্রি করলে তার চাহিদা রয়েছে । তাই সেই পদ্ধতিকে মহিলাদের শিখিয়ে স্বনির্ভর করতে এই ধরনের কর্মশালা করা হয়েছে। অন্যদিকে এই কর্মশালায় যোগ দিতে আসা ধিমল জনজাতির মহিলারা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি শিখে এই কাজ করতে পারলে আমাদের জন্য খুবই ভাল হবে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement