Siliguri Bride's Hanging Body: শিলিগুড়িতে এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় শ্বশুরবাড়ি থেকে। ঘটনার পর যুবতীর চিকিৎসার বন্দোবস্ত তো করেইনি বরং তারপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। ফলে সন্দেহ সমস্ত সন্দেহ তাদের উপরই পড়েছে। পরে মেয়ের বাপের বাড়ি লোকেরা ওই যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। যুবতীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত শিশুকে গলা কেটে খুনের চেষ্টা, তীব্র চাঞ্চল্য মালদায়
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জননগর কলোনির বাসিন্দা সনাতন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় রেখা দাসের। বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি কাছাকাছিই। তবে বিয়ে কিছু দিন পার হতেই গৃহবধূর উপর পণের দাবিতে অত্যাচার শুরু করেন স্বামী সনাতন দাস এবং তারা শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনই অভিযোগ রেখার বাপের বাড়ির লোকজনের। যুবতীর বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ, বিয়ের ৯ বছর পরও লাগাতার পণের দাবিতে মেয়েকে চাপ দেওয়া হতো। মারধরও করা হতো মাঝেমধ্যেই। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বধূ।
ওইদিন তাঁকে ফোন করেও না পেয়ে বাড়িতে খোঁজ করতে যান বাপের বাড়ির লোকজন। সেখানে ঘরের মধ্যে পরিবারের সদস্যরা তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তড়িঘড়ি তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থাকা চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেই থেকে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পলাতক। এদিকে মৃত রেখার পরিবারের দাবি তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর ৭ বছরের ছেলে এবং ৫ বছরের মেয়ে রয়েছে। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের তরফে শিলিগুড়ি পুলিশের আশিঘর ফাঁড়িতে খুনের অভিযোগও দায়ের হয়। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার বাবা মহাবীর দাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, "মেয়েকে আমি সব সময় বুঝিয়ে পাঠাতাম যে কোনও ঝামেলা হলে নিজেই শুধরে নিতে। কিন্তু এমন হবে তা জানা ছিল না। কোনও মেয়ের সঙ্গে যেন এমন ঘটনা না হয়। আমরা চাই এই ঘটনায় অপরাধী যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।"