সালিশি সভায় ডেকে এনে এক ব্যক্তি ও এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে। সূত্রের খবর, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে দু'জনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে বাঁশ ও গাছের ডাল দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনারুল হকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার ভাইরাল ভিডিও পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঘটনার পর গ্রাম থেকে পলাতক তৃণমূল নেতা আনারুল। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। যদিও ওই ব্যক্তি দলের সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন জেলার তৃণমূল নেতারা। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্যক্তিকে ওই মহিলার বাড়িতে পাওয়া যায়। স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে আসে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তোলে। সঙ্গে সঙ্গে আনারুলও সেখানে চলে আসেন। দলবল নিয়ে দু'জনকেই দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় কয়েকজন হস্তক্ষেপ করে দু'জনকে উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে পুখুরিয়া থানার একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও পুলিশ পরে মামলা রুজু করে একজনকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনারুল এখনও পলাতক।
মারধরের ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'চোপড়া, আড়িয়াদহ, কোচবিহার, তালিকা বাড়ছে...টিএমসি নেতারা বাঁশের লাঠি দিয়ে মহিলাদের মারছে, তাঁরা ব্যথায় কাঁপছেন। এ বার রাতুয়া। মালদা জেলা। গত রাতে তৃণমূল নেতা মোঃ আনারুল হককে একজন মহিলাকে মারধর করতে দেখা যায়, যার হাত তার পিঠের পিছনে বাঁধা ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার রতুয়া ২ ব্লকের সম্বলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কেন তৃণমূল নেতারা মনে করেন যে মহিলাদের মারধর করার বিশেষাধিকার তাদের আছে?' (অসম্পাদিত)