Advertisement

Adhir Chowdhury: 'কেউ খুন হলেই দিদি বলবেন ঝাড়খণ্ড থেকে...,' মালদা গুলিকাণ্ডে তোপ অধীরের

এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মদত' রয়েছে বলেও দাবি করেন অধীর। তাঁর কথায়,'অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে খেলার উদ্বোধন হচ্ছে। তবেই না তৃণমূল।

অধীর চৌধুরীঅধীর চৌধুরী
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 24 Jan 2025,
  • अपडेटेड 4:33 PM IST
  • ভলিবল টুর্নামেন্টে চলল গুলি।
  • বিরোধীদের নিশানায় তৃণমূল।

ঠিক কয়েক দিন আগেই মালদার ইংরেজবাজারে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার সেই জেলাতেই শূন্যে গুলি ছুড়ে ভলিবল খেলার উদ্বোধন করতে দেখা গেল এক যুবককে। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী। তাঁর কটাক্ষ,'তৃণমূলের নেতা হতেই হবে। তৃণমূল নেতা ছাড়া গুলি চালিয়ে খেলা উদ্বোধন করার মতো দরিয়াদিল কারওর নেই'। 

এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মদত' রয়েছে বলেও দাবি করেন অধীর। তাঁর কথায়,'অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে খেলার উদ্বোধন হচ্ছে। তবেই না তৃণমূল। দিদি এখন কিছুই বলবেন না। কেউ খুন হলে বলবেন, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এসেছে, বাংলায় মাফিয়াগিরি চলবে না। গোটা বাংলাজুড়ে আপনার দল মাফিয়ারাজ চালাচ্ছে'।

জানা গিয়েছে, ২৩ জানুয়ারি মালদার মানিকচকের নুরপুর টিপটপ ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল ভলিবল টুর্নামেন্ট। নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে উদ্বোধনের ঠিক আগে শূন্যে গুলি ছোড়েন কয়েক জন যুবক। ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, হাতে বন্দুক নিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। শূন্যে গুলি চালানোর পর উপস্থিত দর্শকরা হাততালিও দেন। ভাইরাল ভিডিও নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষের। 

পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। পুলিশের দাবি, ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার  একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২৩ জানুয়ারি ভলিবল টুর্নামেন্টে মোট চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। চারটি বন্দুকের লাইসেন্স আছে। তবে অস্ত্র আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। সেই অস্ত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মনসুর আহমেদ খান, মোহাম্মদ আমিনুর রহমান খান, আলকামা খান চৌধুরী এবং মহম্মদ বখতোয়ার খানের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর।

প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে গুলি করে খুন করে জনা কয়েক দুষ্কৃতী। ওই ঘটনায় তদন্ত চলছে। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা। একাধিক অভিযুক্ত এখনও অধরা। এর মধ্যে আবার গত বৃহস্পতিবার কালিয়াচকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। বেআইনি কফ সিরাপের বোতল উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। কোনও পুলিশকর্মী হতাহত হননি। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কালিয়াচক থানা এলাকায় থাকে বরুণ মণ্ডল এবং উমাকান্ত টোলার। ধৃতদের কাছ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল, একটি সেভেন এমএম পিস্তল, দু’টি কার্তুজ, একটি ম্যাগাজিন এবং কার্তুজের খোল উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement