তিনজন লোক এক মহিলাকে চ্যাংদোলা করে ধরে আছে। আরেকজন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে যাচ্ছে। অনবরত। মহিলা চিত্কার করছেন। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। আরও কয়েকজন লোক মহিলার সেই আর্তনাদ শুনে হাসাহাসি করছে। কামারহাটির আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাবের ঘটনা। এবারও সেই জয়ন্ত সিং ও তার দলবল। এই জয়ন্ত আবার কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মদন মিত্রর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিজেপি-র পোস্ট করা ওই ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। মা ও ছেলেকে একই ভাবে গণপিটুনি দিয়ে আপাতত জেলে জয়ন্ত। তারই মধ্যে আরও একটি নৃশংস ভিডিও ভাইরাল হল। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ভিডিওটি পুরনো। যদিও এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও ও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in।
তরুণীকে চ্যাংদোলা করে লাঠি দিয়ে মারধর
বিজেপি-র একাধিক নেতা-নেত্রী তো বটেই, সাধারণ ইউজাররাও ভিডিওটি শেয়ার করছেন। ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-ও। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, জয়ন্ত সিংরা দলবল নিয়ে এক তরুণীকে চ্যাংদোলা করে মারছে। লাঠি দিয়ে মারছে। মহিলা চিত্কার করে যাচ্ছে। বাকিরা হাসছে। নতুন করে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দুজন আপাতত আড়িয়াদহে মা-ছেলেকে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগে জেলে। জয়ন্ত সিং হল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্র মদন মিত্র-র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যদিও মদন মিত্র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বাংলাকে বদনামের চেষ্টা করছে বিজেপি, দাবি তৃণমূলের
অন্যদিকে রাজ্যে একের পর এক গণপিটুনি ও সালিশিসভায় শাস্তির ঘটনায় অস্বস্তিতে শাসকদলও। কামারহাটির তালতলা ক্লাবের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা ঋজু দত্তের দাবি, ভিডিওটি ২০২১ সালের মার্চ মাসের। অভিযুক্ত হল জয়ন্ত সিং ও তার সঙ্গীরা। এদের মধ্যে দুজন ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছে। যাঁকে মারধর করা হচ্ছে, তিনি সম্ভবত ছেলে। বাংলা বিজেপি-কে বর্জন করেছে, তাই স্বাভাবিক ভাবেই ওরা তৃণমূল কংগ্রেসকে টার্গেট করছে ও রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।
জয়ন্ত সিং ও তার দলবলের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা
আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে গণপিটুনির অভিযোগে গত বুধবার গভীর রাতে জয়ন্ত সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও বিরোধীদের দাবি, জয়ন্ত আত্মসমর্পণ করেছে। মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় দুই যুবক-সহ একজনের মাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে চরম উত্তপ্ত হয়েছিল বেলঘড়িয়া থানার আরিয়াদহ কেদারনাথ সিংহ রোড এলাকা। এই ঘটনায় বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও স্থানীয়দের দাবি ছিল, মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্তরা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ। তাঁদের ছত্রছায়ায় এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ চালায়। যদিও শাসকদলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।