কী কাণ্ড! বর এসেছিলেন বিয়ে করতে। তারপর এমন কাণ্ড হল যে সোজা বিয়ের মণ্ডপ থেকে তাঁকে শ্রীঘরে যেতে হল। আর জানেন তো এই কাণ্ডে পুরোহিতও বাদ পড়েননি। তাঁকেও গারদের পিছনে যেতে হল। কিন্তু কী এমন হল? তাহলে কী বর মশাই পণ চেয়েছিলেন? না না, বিষয়টা ঠিক সেটা নয়। এই বর বাবাজীবন যাকে বিয়ে করতে এসেছিলেন, তার তো বিয়ের বয়সই হয়নি। আর বিষয়টা জানাজানি হতেই পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ নিতে আসরে নেমে পড়ে। তারপর বরসহ পুরোহিতেরও ঠাঁই হয় শ্রীঘরে। যদিও বর মশাইয়ের দাবি, পাত্রী বিবাহযোগ্যা নন, সেটা তিনি জানতেই না।
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার ঝিল্লি অঞ্চলের শনিগ্রামে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই বিয়ে বন্ধ করে পুলিশ। কারণ মেয়েটি নাবালিকা। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ঝিল্লি অঞ্চলের শনিগ্রামের একজনের সঙ্গে সাদল অঞ্চলের আমজোয়া গ্রামের এক যুবকের বিয়ের আসর বসেছিল। যেহেতু মেয়েটি নাবালক, পুলিশ এই খবর জানতে পেরে ওই বিয়ে বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি বরসহ পুরোহিত, বরযাত্রী ও মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করে খড়গ্রাম থানার পুলিশ।
অন্যদিকে পুরোহিতেদর দাবি তিনি মেয়েটির বাড়ির লোককে প্রশ্ন করেছিলেন যে তার বিয়ের বয়স হয়েছে কিনা। আর পাত্রীকে শাড়ি পরা দেখে তিনিও বিষয়টা বুঝতে পারেননি। এদিকে বরযাত্রীদের দাবি তাঁরা মেয়েটির বিষয়ে কিছুই জানতেন না। বুধবার অভিযুক্তদের কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। প্রশাসনের এত প্রচারেও ঘুম ভাঙছে না সাধারণ মানুষের। ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের ও ২১ বছরের নিচে ছেলেদের বিয়ে দেওয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ । সাধারণ মানুষকে বার্তা দিতে এবং বেআইনি ভাবে বিয়ে বন্ধ করতে কড়া ভূমিকা গ্রহণ করছে পুলিশ প্রশাসন।
সংবাদদাতা- সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়