গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল কাকদ্বীপের ৩টি ট্রলার ৷ যেখানে ছিলেন ৪৯ জন মৎস্যজীবী ৷ এরমধ্যে ২টি ট্রলারের খোঁজ মিলল। কেন্দুয়া দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় ট্রলার দুটিকে দেখা গিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে খবর।
অবশেষে নিখোঁজ ওয়ার তিন দিন পর খোঁজ মিলেছে ৩৩ জন মৎস্যজীবীর। তাঁদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন একটি ট্রলারের ১৬ জন মৎস্যজীবী। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্নে রয়েছেন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরা। সোমবার সকাল থেকেই তাঁরা ট্রলার মালিকের বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন। সবার চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। নিখোঁজ মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁরা সঠিক কোনও খবর পাচ্ছেন না।
ডায়মন্ড হারবারের দুটি ট্রলারের খোঁজ মিলেছে। এই খবরের ইতিমধ্যে মৎস্যজীবী পরিবারের মানুষজন নামখানা এলাকায় ভিড় করা শুরু করেছে। কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী সংগঠনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘সোমবার রাত পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারের দুটি ট্রলারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। একটি হল এফ বি শ্রীহরি ও অপর ট্রলারটির নাম এফ বি মা রিয়া। এফ বি শ্রীহরি ট্রলারের ১৯ জন ও এফ বি মা রিয়া ট্রলারের ১৪ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু কাকদ্বীপের এফ বি বাবা নীলকন্ঠ নামক একটি ট্রলারের ১৬ জন মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ওই ট্রলারটির খোঁজে তল্লাশি চলছে। সকাল থেকে আবারও তল্লাশি শুরু হবে। এখন দুর্যোগ কেটে গিয়েছে। তাই মৎস্যজীবী সংগঠন থেকে পাঁচটি ট্রলার তল্লাশির জন্য সমুদ্রে পাঠানো হবে।’
কাকদ্বীপ ঘাট থেকে 'এফবি বাবা নীলকন্ঠ' ও ডায়মন্ডহারবার মৎস্যবন্দর থেকে 'এফবি শ্রী হরি' ও 'এফবি মা রিয়া' নামে তিনটি ট্রলার মাছ ধরতে গত আট ও নয় সেপ্টেম্বর গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয় । নিম্নচাপের জেরে ঝোড়ো হাওয়া ও সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠতে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা পেয়ে ট্রলারগুলি উপকূলের দিকে ফিরছিল। মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে ওই ট্রলার তিনটির সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না । সময় যত গড়িয়েছে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবার। নিখোঁজ তিনটি ট্রলারে মোট ৪৯ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন মৎস্যজীবীকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।