সোমবার ২৫ নভেম্বর বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন অনুব্রত মন্দল।প্রাই আড়াই বছর পর তিনি সুপ্রিম মমতা বন্ধপাধ্যায়ের মুখমুখি হবেন। বৈঠক এ যাওয়ার আগে তিনি বলেন,’দিদির কাছে ভাই জাবে,ভালই তো লাগছে’। বীরভূমের করকমিটির বাকি সদস্য রাও কলকাতাতে ছিলেন। জাতীয় কর্ম বিরতির বৈঠক শেষ এ বীরভূমের কর কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করার জল্পনা ছরিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
গরু পাচার ও আর্থিক তছরুপের জন্য অনুব্রত মণ্ডল কে গ্রেপ্ততার করার পর রাজ্যের কারামন্ত্রি চন্দ্রনাথ সিঙ্ঘ, বিধানসভার সভাধিপতি ফাইজুল হক ওরফে কাজল সেখ, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত সিঙ্ঘ ও তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ, এই ৬জন বীরভূমের সাংগঠনিক রাশ ধরেছিলেন।
কিন্তু দেখা গেছে, চিঠি পেয়ে অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মবিরতির বৈঠকে কালি ঘাটে ডাক পেলেন। দীর্ঘ আড়াই বছর পর তিনি মুখ্য মন্ত্রির সাথে দেখা করার সুযোগ পান।দলের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে ডাক পাওয়াই উচ্ছাসিত বীরভূম বাসীরা। আর এই ডাক পাওয়াই বীরভূমের মাটিতে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই যাই।
বীরভূম জেলার তৃনমূল জাতীয় কমিটির সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরি জানিয়েছিলেন,’ কর্ম বিরতির বৈঠকেই যোগ দেউয়ার জন্য চিঠি পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল’।
সব মিলিয়ে এই গোটা ঘটনার এবার কি কাজল সেখ চাপে পরে গেল? কারন এবার অনুব্রত নতুন করে নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। ঘাতালে দেবের এলাকাই ঝেমেলার পর সমস্যা মিটে যাওয়ার পরও বীরভূমের সমস্যা এখনও মেটেনি।
দলের জাতীয় কর্মবিরতির বৈঠকে শেষে অনুব্রতর সঙ্গে কিছুক্ষন বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । এবের বীরভূমের বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। কিন্তু এই বিষয়ে কি কোন কথা তাদের মধ্যে হয়েছে? তা নিয়ে জল্পপনা ছরিয়েছে সমবার থেকে। এই বিষয়ই এ সরকারি ভাবে কেউ এখনও মুক খোলেনই।
রিপোর্টার: অনিল গিরি