Advertisement

জমির আল খুঁড়তেই উদ্ধার ১৭৯ পিস কার্তুজ, তদন্তে পুলিশ

জমির আল খুঁড়তেই বেরিয়ে এল প্যাকেট প্যাকেট কার্তুজ। সোমবার, সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির ৯ নম্বর কাশীজোড়া অঞ্চলের আশনাশুলি এলাকায়।

স্বপন কুমার মুখার্জি
  • কলকাতা,
  • 16 Dec 2025,
  • अपडेटेड 6:50 PM IST
  • জমির আল খুঁড়তেই বেরিয়ে এল প্যাকেট প্যাকেট কার্তুজ।
  • খবর পেয়ে দ্রুট ঘটনাস্থলে যায় শালবনি থানার পুলিশ।
  • উদ্ধার হওয়া সমস্ত কার্তুজই অনেক পুরোনো এবং নিষ্ক্রিয়।

জমির আল খুঁড়তেই বেরিয়ে এল প্যাকেট প্যাকেট কার্তুজ। সোমবার, সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির ৯ নম্বর কাশীজোড়া অঞ্চলের আশনাশুলি এলাকায়। ১৭৯ পিস কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে ওই এলাকা থেকে। খবর পেয়ে দ্রুট ঘটনাস্থলে যায় শালবনি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সমস্ত কার্তুজই অনেক পুরোনো এবং নিষ্ক্রিয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ইঁদুর ধরার জন্য জমির আল খুঁড়ছিলেন। সেই সময়েই মাটির নীচে থেকে বেরিয়ে আসে প্যাকেট করা কার্তুজ। ঘটনায় শোরগোল শুরু হয় এলাকায়। এর পরে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে কার্তুজের প্যাকেট উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কার্তুজের মধ্যে ১২২টি দেশি একনলা বন্দুকের এবং ৫৭টি SLR-এর। যদিও কী ভাবে ওই কার্তুজগুলি এল তা এখনও জানা যায়নি। 

ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কার্তুজগুলি প্রায় ১৫-১৬ বছর আগের হতে পারে। এবিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, "কিছু পুরোনো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।"

এনিয়ে CPIM-এর জেলা সম্পাদক বিজয় পাল বলেন, "জঙ্গলমহলের হাজার হাজার CPIM কর্মী-সমর্থকদের মেরে ফেলেছে দুষ্কৃতীরা। এটা বাংলার সমস্ত মানুষই জানেন। তবে, ওই কার্তুজ এই তৃণমূল আমলের কি না পুলিশের তা সঠিক ভবে তদন্ত করে দেখা উচিত।"

এবিষয়ে মেদিনীপুরের বিজেপি সহ-সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, "রাজ্যে ভোট এলেই গুলি, বোমা,অস্ত্র উদ্ধার হয়। রাজ্যে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। ভোট লুট করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস এসব করছে।" পুলিশ প্রশাসনের কাছে এনিয়ে উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। 
সংবাদদাতা- শাহজাহান আলি

TAGS:
Read more!
Advertisement
Advertisement