মহেশতলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পাশে দাঁড়ান। নির্দেশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সূত্রে খবর, অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও বাড়ির মালিকদের সবরকম সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দলের নেতাকর্মীদের সেই বার্তাই দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
সম্প্রতি মহেশতলায় যে অশান্তি হয়, তা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেদিনের অশান্তিতে একাধিক দোকান এবং বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বলেন অভিষেক।
ঘাসফুল শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক চেয়েছেন, কারও যাতে কোনওরকম অভাব না হয়। আর সেটা দলীয় স্তর থেকেই নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি। এলাকার সংগঠনের সদস্যদের দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেছেন।
গত সপ্তাহে মহেশতলায় উত্তেজনা ছড়ায়। রবীন্দ্রনগর থানার কাছাকাছি এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। হিংসা থামাতে গিয়ে আহত হন একাধিক পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামাতে হয় র্যাফ বাহিনী। বর্তমানে এলাকা শান্ত থাকলেও, স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনায় ভেঙে গিয়েছে দোকান, বাড়ির দেওয়াল। তাই সাংসদ নিজে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, সেদিনের অশান্তির পরপরই পুলিশ প্রশাসনে বেশ কিছু বদল করা হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিয়াকে পাঠানো হয়েছে দার্জিলিঙে। তাঁর স্থানে দায়িত্ব পেয়েছেন সুজনকুমার রায়। তিনি এর আগে মালদহের রতুয়ার সার্কেল ইনস্পেক্টর পদে ছিলেন। বদলি হয়েছে মহেশতলার এসডিপিও পদেও। কামরুজ্জামান মোল্লার জায়গায় এলেন সৈয়দ রাজিবুল কবীর। তিনি আগে রাজারহাট থানায় আইসি পদে ছিলেন।
যদিও পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে যে, এটি রুটিন বদলি। তবে সেদিনের ঘটনার পরপরই এতবড় রদবদলে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। শাসক শিবির যদিও এই নিয়ে কিছুই বলছে না। তবে সমালোচকদের একাংশের মতে, পরিস্থিতি সামাল দিতেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সব মিলিয়ে অশান্তির আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ এবং প্রশাসনিক রদবদলে পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক হয়, সেদিকেই এখন নজর এলাকাবাসীর।