Adhir Chowdhury on WB CM Mamata Banerjee and PK: পশ্চিমবঙ্গের লুঠের টাকা দিয়ে ভারতকে দখল করার চেষ্টা করছেন দিদি। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)-কে এভাবেই আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (WB PCC Chief Adhir Chowdhury)। তাঁর অভিযোগ, বড় বড় শিল্পপতিদের কাছ থেকে কাটমানি আসছে। ফ্রন্টম্যান রেখেছেন প্রশান্ত কিশোর (PK বা Prashant Kishor)-কে! এদিন তিনি একের পর এক বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধোনা করেন।
সৌজন্য দেখিয়ে
এদিন অধীর (WB PCC Chief Adhir Chowdhury) বলেন, কথা আছে তুমি, অধম হলে আমি কি উত্তম হব না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)-এর ভদ্রতা পছন্দ হয় না। তার মানে কি আমরা সবাই ও ভদ্র হয়ে যাব? মনে হয়েছে ভবানীপুরে প্রার্থী দেওয়া উচিত না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের তিনি বৃহত্তর অংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। বৃহৎ অংশের মানুষ যখন তাকে সমর্থন করেছেন। বৃহৎ অংশের মানুষের মতামতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সেখানটায় প্রার্থী দিইনি।
চেয়েছি তিনি জিতুক
তিনি (WB PCC Chief Adhir Chowdhury) বলেন, আমরা চেয়েছি দিদি জিতুক। অন্তত কংগ্রেস তাঁর জয়ের পথে বাধা হবে না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য সরে এসে আমরা সেই জায়গাটা পরিষ্কার করে দিয়েছি। পাঁচটা ভোট হলেও আমাদের ছিল।
কাটমানি এবং তৃণমূল প্রসঙ্গে
তাঁর (WB PCC Chief Adhir Chowdhury) অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার ডিলিংস চলছে। ফ্রন্ট ম্যান রেখেছেন প্রশান্ত কিশোর (PK বা Prashant Kishor)-কে! বড় বড় শিল্পপতিদের কাছ থেকে কাটমানি আসছে। পশ্চিমবঙ্গের কাটমানি আছে। পশ্চিমবঙ্গে লুটের টাকা আছে। টাকা দিয়ে, পশ্চিমবঙ্গে লুঠের টাকা দিয়ে তিনি (WB CM Mamata Banerjee) সারা ভারতকে দখল করার চেষ্টা করছেন।
তিনি (WB PCC Chief Adhir Chowdhury) যোগ করেন, একদিন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে দখল করার চেষ্টা করেছিল। আজ বাংলায় দিদি (WB CM Mamata Banerjee) সেই পথ অবলম্বন করে বাংলাকে লুঠে, এই বাংলার টাকায় পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে অন্যান্য রাজ্যে তার ক্ষমতা বিস্তার করতে চাইছে। এদিন বহরমপুর কংগ্রেস অফিসে এভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন অধীর চৌধুরী।
প্লাবন নিয়ে তোপ
তাঁর কটাক্ষ, নাচতে না পারলে উঠোন ব্যাঁকা বলে দাও, ঝামেলা শেষ। ম্যানমেড, গডমেড, না ক্লাইমেট না রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা মেড! নন কমপিটেন্স অফ স্টেট গভর্নমেন্ট। কারণ আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলছি, বাঁধ দিয়ে যে নদী পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশ করুক না কেন সেই নদীর উপরে যত বাধ সব বাঁধের জল ছাড়ার আগে রাজ্য সাথে আলোচনা করে ছাড়তে হয়।
আদালতে যান
আচ্ছা যদি মনে করে ম্যানমেড, তা না জেনে সব কিছু হয়েছে, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে না কেন। ইডি, সিবিআই-এর হাত থেকে বাঁচার জন্য সুপ্রিম কোর্ট ক্ষণে ক্ষণে যাচ্ছেন আপনারা। এত বড় একটা অন্যায় যে পশ্চিমবঙ্গের ডুবিয়ে মারার জন্য বাঁধগুলো ভেঙে জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে।
তিনি বলেন, আমি তো মনে করি এটা খুনের শামিল। গণহত্যার শামিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোর্টে যাচ্ছে না কেন? কম সে কম হাইকোর্টেও তো যান। আমরা জানি কিসের ম্যানমেড।
তিনি আরও বলেন, কোনও মানুষের তৈরি বিপদ, না ভগবানের তৈরি, না প্রকৃতির তৈরি বিপদ, না আপনার ব্যর্থতার জন্য তৈরি বিপদ, আমাদের তো জানা দরকার। কারও ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সহজে নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কী করেছেন, আপনার কী দায়িত্ব ছিল আমফানে? আপনি ব্যর্থ হয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ে, আপনি ব্যর্থ হয়েছেন ইয়াসের পরবর্তী সময়ে, আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। অর্থাৎ আপনার ব্যর্থতা তালিকা লম্বা।
বিরোধীদের ভাঙানো
তাঁর কটাক্ষ, কলকাতা আজ লন্ডনে ভাসছে! সে দিকে তাকাচ্ছেন না। আপনার লক্ষ্য ভোট, আপনার লক্ষ্য বিরোধীদল ভাঙানো। আপনার লক্ষ্য ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করা। এতটাই বুঁদ হয়ে আছেন এ ব্যাপারে যে পশ্চিমবঙ্গে মানুষের যে সমস্যা, সে ব্যাপারে ভাববার আপনার অবকাশ নেই।