Advertisement

Bankura Stone Quarries: কাজে ফিরছে শালতোড়ার পাথর খাদান, 'TMC নেতারা টাকা পান', কটাক্ষ বিজেপির

দীর্ঘ ৪ বছর ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে সরকারি অনুমতিতে বাঁকুড়ায় চালু হল ৪টি পাথর খাদান। এর ফলে বাঁকুড়ার শালতোড়া ও গঙ্গাজলঘাটি এলাকায় স্টোন ক্রাসার শিল্পে ফের কাঁচামাল জোগান স্বাভাবিক হবে বলে আশা পাথর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষের।

পাথর খাদানের সঙ্গে জড়িয়ে হাজার হাজার মানুষের রুজিরুটি।পাথর খাদানের সঙ্গে জড়িয়ে হাজার হাজার মানুষের রুজিরুটি।
প্রীতম ব্যানার্জী
  • বাঁকুড়া,
  • 20 Jan 2025,
  • अपडेटेड 4:32 PM IST

দীর্ঘ ৪ বছর ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে সরকারি অনুমতিতে বাঁকুড়ায় চালু হল ৪টি পাথর খাদান। এর ফলে বাঁকুড়ার শালতোড়া ও গঙ্গাজলঘাটি এলাকায় স্টোন ক্রাসার শিল্পে ফের কাঁচামাল জোগান স্বাভাবিক হবে বলে আশা পাথর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষের। এদিকে দীর্ঘ ৪ বছর পরে আবার পাথর খাদান চালুর অনুমতি মেলায় শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।

বাঁকুড়ার শালতোড়া ও গঙ্গাজলঘাটি ব্লক এমনিতেই ক্ষরাপ্রবণ ব্লক হিসাবে পরিচিত। একটা সময় রুক্ষ ওই এলাকায় মানুষের রুজিরুটির অন্যতম সংস্থান ছিল পাথর শিল্প। ওই দুই ব্লক মিলিয়ে ২৫০ থেকে ৩০০টি ক্রাসার রয়েছে। বছর চারেক আগেও এই শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার শ্রমিক। তবে পাথর উত্তোলনের বৈধ অনুমতি না থাকায় ২০২১ সালে ওই দুই ব্লকের সমস্ত পাথর খাদান বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। এরপর ওই বছরই কাঁচামালের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় একের পর এক স্টোন ক্রাসার। কাজ হারিয়ে বাধ্য হয়ে বিকল্প রুজির সন্ধানে অন্যত্র পাড়ি দিতে শুরু করেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা। অন্যদিকে পাথর খাদানের বৈধ অনুমতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যান ওই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার শ্রমিক ও ক্রাশার মালিকরা।

লাগাতার আন্দোলনের জেরে মাস ছয়েক আগে একবার পাথর খাদান থেকে পাথর উত্তোলনের সাময়িক অনুমতি দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই সময় খাদানগুলি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু হতেই ঘটে বিপত্তি। অবৈধভাবে ডিনামাইট পরিবহণের সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক বাইক চালকের। সেই ঘটনার তদন্তে নামে এনআইএ। তড়িঘড়ি ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় খাদানগুলি। তবে এবার শালতোড়া ব্লকে ৩ টি ও গঙ্গাজলঘাটি ব্লকে ১ টি পাথর খাদান থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী জানান, নথিপত্র খতিয়ে দেখে ধীরে ধীরে অন্যান্য পাথর খাদানগুলি থেকেও পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হবে।

Advertisement

একের পর এক পাথর খাদানের অনুমতি মেলায় কাঁচামাল সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার আশা দেখছেন ক্রাশার মালিকরা। খাদান থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি মিললে বন্ধ ক্রাশার শিল্প পুনরায় জেগে উঠবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। ফলে আর ওই দুই ব্লকের শ্রমিকদের অন্যত্র কাজের খোঁজে যেতে হবে না।

আরও পড়ুন

এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে পাথর খাদানের অনুমতি দেওয়া শুরু হতেই পালটা কটাক্ষ  বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের দাবি খাদানগুলি বন্ধ হয়ে গেলে তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে। কারণ, তৃণমূলের নেতারা এই খাদানগুলি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পান বলে দাবি বিজেপির। তবে পাথর খাদানগুলিতে অনুমতি দেওয়া শুরু হওয়ায় খুশির হাওয়া এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের মধ্যে।

সংবাদদাতা-নির্ভিক চৌধুরী

Read more!
Advertisement
Advertisement