পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড়সড় ভাঙন বিজেপিতে। তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তৃণমূল যোগ দেন তিনি। মূলত আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার ওপের ক্ষোভ থেকেই তাঁর এই দল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।
রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তীকে পরাজিত করে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক হন সুমন কাঞ্জিলাল। তবে সূত্রের খবর, বিগত কিছু সময় ধরেই আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল সুমন কাঞ্জিলালের। এর কারণ হিসেবে সুমন কাঞ্জিলাল শিবিরের দাবি, এলাকার উন্নয়নে জন বার্লা কোনওরকম সহযোগিতা করছিলেন না। আর সেই কারণে ভোটের সময় সুমনবাবু মানুষকে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি তিনি পালন করতে পারছিলেন না। মূলত সেই কারণেই তাঁর এই তৃণমূলে যোগদানের সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল উত্তরবঙ্গের কোনও এক বিজেপি বিধায়ক যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। এমনকী এর আগে সেই বিধায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলেও শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে এদিন সেই জল্পনাই সত্যি প্রমাণিত হল। তবে উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে ভাঙন কিন্তু এই প্রথম নয়। এর আগে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ও যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। আর এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন সুমন কাঞ্জিলাল।
কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "দরজা খুললে বিজেপি দলটাই আর থাকবে না"। পরে এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "আপনারা কি অপেক্ষা করে আছেন দরজা কবে ফাঁক হবে? ঠিক সময়ে হবে। রাজনীতিতে টাইমিং গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক সময়ে দরজা ফাঁক কেন, একটু খোলাই হবে"। আর এই মন্তব্যের কিছুদিন পরেই তৃণমূলে এলেন সুমন কাঞ্জিলাল। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিকমহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি 'দরজা খোলা'র প্রক্রিয়া শুরু করে দিল তৃণমূল?
আরও পড়ুন - ঘরোয়া ৪ উপায়ে পরিষ্কার রাখুন কিডনিকে, থাকবেন সুস্থ; পাবেন দীর্ঘায়ু