কি করে বারে বারে লটারি জিতছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, এই প্রশ্নই এখন ভাবিয়ে তুলছে সিবিআই আধিকারিকদের। আর তার উত্তর খুঁজতেই বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূমে হাজির হলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন বোলপুরের বড় শিমুলিয়া গ্রামে শেখ নুর আলির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে শেখ নুরকে বৃহস্পতিবারই তলব করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সিবিআই-এর সন্দেহ, এই নুর আলিই লটারি পেয়েছিলেন যার অর্থ পরে হাত বদল হয়। নুরের পাশাপাশি তাঁর দাদাকেও নোটিশ পাঠান হয়েছে। সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করা হয়েছে তাঁদের। নুরের আয়ের উৎস কী? এই যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের মারফত বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের লটারি পাওয়ার রহস্য উদঘাটন করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্ট ১০ কোটির উৎস সন্ধানে কয়েকজন ব্যাঙ্ককর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। প্রসঙ্গত বুধবার বীরভূমের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক সংস্থার এক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী দিনেও বেশ কয়েক জন ব্যাঙ্ক আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হবে। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টের নথিও চাওয়া হবে তাঁদের কাছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত ও তাঁর আত্মীয়দের নামে বিভিন্ন সময়ে বিপুল টাকা লেনদেন হয়েছে ব্যাঙ্কে। প্রায় ১০ কোটি টাকা জমা পড়েছে ব্যাঙ্কে। সেই টাকার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পেতেই ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের তলব করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের নজর মূলত অনুব্রতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপরেই। কোন পথে অনুব্রত মণ্ডল বিপুল সম্পত্তি করলেন, সেটা খুঁজে বের করাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। সিবিআই চার্জশিটেই দেখা গিয়েছে, ৯ বছরে অনুব্রতর সম্পত্তি ২০ গুণ বেড়েছে।
প্রসঙ্গত গরুপাচার মামলায় লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে এখন নজর রেখেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা একাধিক লটারি জিতেছেন। আর সেই লটারির মাধ্যমেই লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা।