অবশেষে পাওয়া গেল অভিনব প্রতিবাদের ফল। রেশন কার্ডে নিজের আসল নাম ফিরে পেলেন বাঁকুড়ার বিকনার বাসিন্দা শ্রীকান্ত কুমার দত্ত। ঘটনায় পাশে থাকার জন্য সংবাদমাধ্যমকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে যেদিন এই ধরনের সংশোধনের লাইনে আর ভিড় থাকবেন না, সেদিন তিনি আরও বেশি খুশি হবেন বলেও জানিয়েছেন শ্রীকান্তিবাবু।
জানা গিয়েছে, শ্রীকান্তি কুমার দত্ত নামে ওই ব্যক্তির রেশন কার্ডে নাম ও পদবী মিলিয়ে মোট ৩ বার ভুল আসে। শেষবার দত্তর জায়গায় লেখা ছিল 'কুত্তা'। শ্রীকান্তিবাবুর দাবি, ওই লেখা দেখে রীতিমতো মনাসিক আঘাত পান তিনি। এরপরেই নেন অভিনব প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত।
এলাকার জয়েন্ট বিডিওর কাছে গিয়ে কুকুরের মতো আচরণ করতে শুরু করেন শ্রীকান্তিবাবু। এক্ষেত্রে শুধু কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ শব্দে ডাকাই নয়, জয়েন্ট বিডিওর গাড়ির কাছে গিয়েও কুকুরের মতো আচরণ করতে থাকেন তিনি।
এই বিষয়ে শ্রীকান্তিবাবু জানাচ্ছেন, "গতকাল, আমি আবার সংশোধনের জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে জয়েন্ট বিডিও-কে দেখে আমি তাঁর সামনে কুকুরের মতো আচরণ শুরু করি। তিনি আমার প্রশ্নের উত্তর দেননি এবং পালিয়ে গিয়েছেন। আমাদের মত সাধারণ মানুষ কাজ ছেড়ে সংশোধনের জন্য কতবার আবেদন করবে?"
এদিকে শ্রীকান্তিবাবুর এহেন অভিনব প্রতিবাদের জেরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সেই মতো তাঁর হাতে পৌঁছায় সঠিক নাম ও পদবীর রেশন কার্ড। গোটা ঘটনায় সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম পাশে থাকার জন্য তিনি সঠিক রেশন কার্ড হাতে পেলেন বলে মনে করেন শ্রীকান্তি কুমার দত্ত।
প্রসঙ্গত আধার কার্ড (Aadhar Card), ভোটার কার্ড (Voter Card) বা রেশন কার্ডের (Ration Card) মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে নাম কিংবা ঠিকানা ভুলের ঘটনা এই প্রথম নয়। প্রায়শই এই ধরনের ঘটনার কথা শোনা যায়। যা সংশোধনের জন্য কখনও কখনও মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তবে নাম সংশোধনের জন্য এই ধরনের অভিনব পদক্ষেপ আগে কখনও দেখা গিয়েছে কিনা তা আবশ্য কেউই মনে করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন - স্বাস্থ্যসাথী না-নিলে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল, কড়া নির্দেশ মমতার