Advertisement

Biryani Virility: 'বিরিয়ানি কমাচ্ছে পুরুষত্ব', দু'টি দোকান বন্ধ করে ব্যাখ্যা TMC নেতার

ওই দুটি দোকানেরই লাইসেন্স ছিল না। পুর-অভিযানের সময় দোকানের কর্মচারীরা বাধা দেন। তাঁদের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। তার পর আসেন দোকানের মালিক।

বিরিয়ানি কমায় পুরুষত্ব, দাবি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। বিরিয়ানি কমায় পুরুষত্ব, দাবি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের।
Aajtak Bangla
  • কোচবিহার,
  • 24 Oct 2022,
  • अपडेटेड 12:32 PM IST
  •  কোচবিহার শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন পাওয়ার হাউজ চৌপতিতে দুটি বিরিয়ানির দোকানে অভিযান চালায় পুরসভা।
  • বন্ধ করে দেওয়া হয় দুটি দোকান।
  • অবৈধভাবে চলছিল।

বিরিয়ানি খেয়ে কমে যাচ্ছে পুরুষত্ব। এমন অভিযোগ করলেন কোচবিহার পুরসভার প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর নির্দেশে দু'টি বিরিয়ানির দোকান বন্ধ করে দিয়েছে পুরসভা। কোচবিহারের শনি মন্দির সংলগ্ন দুটি বিরিয়ানির দোকান নিয়ে অভিযোগ পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। শনিবার সেখানে গিয়ে বচসার মুখে পড়েন। তাঁকে বাধা দেন কয়েক জন মহিলা। পরে ওই দুটি দোকান বন্ধ করে দেয় পুরসভা। 

 কোচবিহার শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন পাওয়ার হাউজ চৌপতিতে দুটি বিরিয়ানির দোকানে অভিযান চালায় পুরসভা। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন খোদ পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর কথায়,'গত কয়েকদিন একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। তাই নিজেই দেখতে এসেছি।'রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি,এই বিরিয়ানি খেলে পুরুষের যে পুরুষত্ব সেটা কমে যায়।

ওই দুটি দোকানেরই লাইসেন্স ছিল না। পুর-অভিযানের সময় দোকানের কর্মচারীরা বাধা দেন। তাঁদের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। তার পর আসেন দোকানের মালিক। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। তাঁর অভিযোগ,বেআইনিভাবে চলছিল ওই দোকান। এমনকি দোকানের কর্মচারীরা চোর-ডাকান কিনা, তা জানা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই কর্মীরা বাইরে থেকে আসেন।  

আরও পড়ুন

রবীন্দ্রনাথ বলেন,'এই বিরিয়ানিগুলোতে যে মশলা দেওয়া হয় তা খেলে পুরুষদের পুরুষত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ক্লাবের ছেলে থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ বহু দিন ধরেই অভিযোগ জানাচ্ছিল। বাইরে থেকে লোক আসছে। তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে আসছে জানি না। তারা চোর-ডাকাত না বদমায়েশ জানি না। মাঝে মধ্যেই সেই লোক পরিবর্তনও হয়ে যাচ্ছে। তাই এই সব দোকান আজ বন্ধ করে দিলাম।'

কোচবিহার শহরের পুজোর সময় ভিন রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বিরিয়ানির দোকান খুলেছেন বলে অভিযোগ। অধিকাংশেরই কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই। এমনকি নেই ফুড লাইসেন্সও। খাবারের গুণগতমান নিয়ে তো প্রশ্ন রয়েইছে। এইসব বিরিয়ানি দোকান নিয়ে অভিযোগ গিয়েছে পুরসভার কাছে। এরপরই তৎপর হয় পুরসভা। জানা গিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা পাপ্পু খান দোকানঘর ভাড়া নিয়ে পুজোর আগে বিরিয়ানি বিক্রি শুরু করেছিলেন। অবৈধভাবে ওই দোকান চালাচ্ছিলেন। এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি পাপ্পু। বাড়ির মালিক মালিক দাবি, শহরের আরও অবৈধ দোকান রয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই দোকানকে বন্ধ করে দেওয়া হল। 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement