Advertisement

BJP ছাড়বেন? শান্তনু-সাক্ষাতের আগে জানালেন 'বিদ্রোহী' বিধায়ক

আগামীর রণনীতি নিয়ে আলোচনার জন্য শান্তনু বৈঠক ডেকেছেন বলে খবর। যদিও বৈঠকের আলোচনার বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন চাননি অসীম।

বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার।
দীপক দেবনাথ
  • বনগাঁ,
  • 04 Jan 2022,
  • अपडेटेड 9:16 PM IST
  • সোমবার বিজেপির সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন শান্তনু ঠাকুর।
  • মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন।
  • আগামীর রণনীতি নিয়ে আলোচনার জন্য শান্তনু বৈঠক ডেকেছেন বলে খবর।

মতুয়া-ক্ষোভে 'বিদ্রোহী' বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন শান্তনু ঠাকুর। ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে তা ভাঙতে চাইলেন না হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। তবে বুঝিয়ে দিলেন, মতুয়াদের রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটিতে না রাখাই ক্ষোভের কারণ।   
   
সোমবার বিজেপির সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন শান্তনু ঠাকুর। সংবাদ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ বনগাঁর সাংসদ জানিয়ে দিয়েছিলেন,''শান্তনু ঠাকুর বা মতুয়া সমাজের ভোটের দরকার নেই বিজেপির। ওই গ্রুপে থাকা তাই নিষ্প্রয়োজন। সময়মতো জবাব দেব।'' মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঠাকুরনগরে পাঁচ বিধায়ককে বৈঠক ডেকেছিলেন শান্তনু। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে মতুয়াদের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ করেন অসীম সরকার। তিনি বলেন,''পশ্চিমবঙ্গে ৮৩টি বিধানসভার আসন যেগুলি মতুয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত। জয়-পরাজয়ও তাদের উপরেই নির্ভর করে। রাজ্য কমিটি বা জেলা কমিটি তৈরি করতে গেলে মতুয়া অধ্যুষিত বিধানসভাগুলির জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল বলে আমার মনে হয়।"  

বঙ্গ বিজেপির রাজ্য কমিটিতে ও সাংগঠনিক জেলা সভাপতির পদে মতুয়া প্রতিনিধি না থাকায় বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন - অম্বিকা রায় , অশোক কীর্তনীয়া, অসীম সরকার, মুকুটমণি অধিকারী এবং সুব্রত ঠাকুর। পরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁরা ঢোকেন। নাড্ডার হস্তক্ষেপেই যে প্রত্য়াবর্তন এ দিন  তা খোলসা করে দেন অসীম। তাঁর কথায়,''হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পরে আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ওই বৈঠকে সমস্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পাওয়ার পরই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঢুকি।"

আরও পড়ুন

আগামীর রণনীতি নিয়ে আলোচনার জন্য শান্তনু বৈঠক ডেকেছেন বলে খবর। যদিও বৈঠকের বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন চাননি অসীম। বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করবেন? হরিণঘাটার বিধায়ক জানান,''আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যদি বলতে পারেন যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া ভাল। সেখানে আমরা তো আর লাথি দিতে চাইনি। হয়তো কিছু মর্যাদা দাবি করা হয়েছে। এখানে দল ছাড়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে বলে আমি জানি না।"

Advertisement


Read more!
Advertisement
Advertisement