জেলা সফর তথা জন সংযোগের কাজে গিয়ে হঠাৎ কোনও দোকানে চা বা মোমো বানানো, কিংবা রাস্তার পাশের কোনও হোটেলে তরকারির কড়াইতে খুন্তি নাড়াতে আগে বহুবারই দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এবার একবারে গ্রামের মানুষের মাঝে বসে মধ্যাহ্নভোজন সারলেন তিনি। সুন্দরবন সফরের দ্বিতীয় দিনে হাসনাবাদের একটি গ্রামে গিয়ে এক পরিবারের সঙ্গে বসে মাছ দিয়ে ভাত খেতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি ২০২৪ সালের মধ্যে সুন্দরবন এলাকায় সমস্ত বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর (CM) এদিনের এই ভাত খাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিকমহলে পড়ে গিয়েছে ব্যাপক শোরগোল। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, অতীতে অমিত শাহ (Amit Shah), জে পি নাড্ডাদের (J P Nadda) মতো বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে একাধিকবার সাধারণ মানুষের বাড়িতে পাত পেড়ে খেতে দেখা গেছে। আর তখন সেই ঘটনার সমালোচনা করেছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে এবার কি তবে বিজেপির সেই জনসংযোগের ধারাতেই হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
যা বলছে বিজেপি...
এক্ষেত্রে বিজেপি নেতা নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "সমস্ত জিনিসের মধ্যে রাজনীতি টেনে আনে তৃণমূল। বারবার অমিত শাহের ভাত খাওয়া, জে পি নাডডার মধ্যাহ্নভোজন নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলে। আমাদের কাছে এসবের কোনও প্রশ্ন নেই। আমরা বলছি, মুখ্যমন্ত্রী ভাত খান, রুটি খান, চা খান, মুড়ি খান, যা খুশি উনি খেতে পারেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা কার্যত তলানিতে চলে গেছে।" পাল্টা এই বিষয়ে তৃণমূলের একাধিক নেতার সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার মনে করছেন, আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের জনসংযোগের কৌশল অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বরাবরই সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই নিজেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের জনসংযোগের কৌশলও যথেষ্ট অর্থবহ। এখন দেখার ভোটবাক্সে এর কতখানি প্রভাব পড়ে।