ভারতে COVID-এর নয়া ভ্যারিয়েন্ট BF.7 ঢুকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই ৪ জনের শরীরে মিলেছে Coronavirus-এর এই মারণ প্রজাতি। এহেন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে ফের একবার করোনার তাণ্ডবের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। সতর্ক থাকছে পশ্চিমবঙ্গও। করোনা রুখতে একগুচ্ছ গাইডলাইন ইস্যু করেছে IMA (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও হাসপাতালগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন।
জিন অ্যানালিসিস করতে হবে
স্বাস্থ্য ভবনে নির্দেশিকায় বলছে, গত একমাসে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের জিন অ্যানালিসিস করতে হবে। ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নমুনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও জেএনএম-এর নমুনা পাঠানো হবে কল্যাণীতে।
পাঁচটি করে নমুনা পজিটিভ হলে তা পাঠানো হবে জিন অ্যানালিসিসে। শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোগী ভর্তি হলে করোনা পরীক্ষা আবশ্যিক বলেও হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা রাজ্যের
ইতিমধ্যে মাস্ক পরা থেকে শুরু করে একাধিক করোনাবিধি ফিরিয়ে আনা শুরু হয়ে গিয়েছে। মারণ ভাইরাসের দাপাদাপি আশঙ্কা মাথায় রেখে তৈরি রাজ্য সরকারও। তবে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষপাতী রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'দিল্লি থেকে কেরল কেস ধরা পড়েছে। বাংলাতেও আসতে পারে। কিন্তু যেহেতু এখনও কোনও কেস ধরা পড়েনি, তাই দেখে নিতে চাইছি। আসবেই এমনটা ধরে নিতে চাইছি না তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ব্যবস্থা নেব।'
সবাই মাস্ক পরুন
করোনার আতঙ্কে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য,'বঙ্গে করোনা নেই বলেই তো মানুষ আবার উৎসবে সামিল হয়েছে। মানুষ তো উৎসব করবেনই। আর কোভিডের মধ্যেও সিস্টেম মেনে গঙ্গাসাগর মেলা আগেও হয়েছে। তবে সকলকে বলব মাস্ক পরুন।'