ঠিক এক বছর আগে এক ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে (Cyclone in West Bengal)। আবার আরেক ঝড় আসছে। আমফানের (Cyclone Amphan) স্মৃতি ও ক্ষত-- দুটোই এখনও দগদগে। তারই মধ্যে আরেক ঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas)। প্রকৃতির এই রোষানলে মানুষ অসহায়। আমফানের ধ্বংসলীলা দেখেছে বাংলার মানুষ। সেই ভয়াবহতা কি আবার ফিরতে চলেছে ইয়াস-এর হাত ধরে? আমফান না ইয়াস-- কোন ঝড় বেশি শক্তিশালী? কার কতটা দাপট? উত্তর খোঁজা যাক।
আমফান না ইয়াস, কে বেশি শক্তিশালী?
আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আমফান ছিল সুপার সাইক্লোন। ইয়াস শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ভারতীয় হাওয়া অফিসের DGM মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছন, 'ইয়াসের হাওয়ার তীব্রতা অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক। ক্ষয়ক্ষতির নিরিখে এটির সঙ্গে আমফানের তুলনা করা যেতে পারে।'
আমফান দেড় হাজার কিমি অতিক্রম করে ল্যান্ডফল হয়েছিল। ইয়াস প্রায় সাড়ে ৬০০ কিমি অতিক্রম করে জমিতে আছড়ে পড়বে।
আমফানের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৬০ কিমি। ইয়াসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৬৫ কিমি। ল্যান্ডফলের পরে গাস্টিং স্পিড বা সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
আমফান ছিল অতি শক্তিশালী ক্যাটেগরি ৫ সাইক্লোন। ২০০৮ সালে নার্গিসে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় আমফানে।
গত ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে ঘর্ণিঝড় ইয়াস। নিয়ম অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় যত স্থলভাগের দিকে এগোবে তত তার গতিবেগ বাড়বে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় এই মুহূর্তে ১৬ ডিগ্রি ৪ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯ ডিগ্রি ৬ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে আন্দামানের পোর্ট প্লেয়ার থেকে ৬২০ কিলোমিটার উত্তরে উত্তর-পশ্চিম, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব, ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ইয়াস। ইয়াস-এর প্রভাবে সোমবার বিকেল থেকেই রাজ্যের উপকূল এলাকায় ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইবে বলে জানা গিয়েছে।