কয়েক মাস আগেই জেলা থেকে কলকাতায় রোগী রেফার কেসের পরিমান নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার জেলা তথা গ্রামের মানুষদের আরও ভাল স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে আনা হল 'দুয়ারে পিজি; (Duare PG) কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন এসএসকেএম-এর (SSKM) চিকিৎসকেরা। এমনকী আগামিদিনে অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদেরও প্রত্যন্ত এলাকার চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য পাঠান হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই কর্মসূচির ফলে জেলা তথা গ্রামের মানুষ আরও ভালও চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, নয়া এই কর্মসূচির ফলে 'রেফার রোগ' অর্থাৎ রেফার কেসের পরিমান কমবে কি?
এই প্রসঙ্গে আর এন টেগর হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, 'একজন চিকিৎসক কতজনকে দেখবেন? একজন চিকিৎসক তো আর দেড়শো-আড়াইশো জনকে দেখতে পারবেন না। তাতে আর চিকিৎসা হবে না। সমস্যাটা খালি মেডিসিন নয়, সমস্যটা গাইনোকোলজি হতে পারে, অর্থপেডিক হতে পারে, কর্ডিওলজি হতে পারে। দুয়ারে গিয়ে চিকিৎসা করলাম, দেখে এলাম, সেটায় সাময়িক কিছুটা সেবা পাবেন মানুষ, কিন্তু সেটা দীর্ঘমেয়াদী করতে হলে আরও পরিকল্পনা করে এগোতে হবে এবং বিভিন্ন গ্রামে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়াতে হবে'।
শহরের আরও এক বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায় জানাচ্ছেন, 'সবকিছুর ট্রিটমেন্ট এক জায়গায় হবে না। গ্রামে সব পরিকাঠামো তো নেই, তাই রেফার হয়তো করতে হবে। তবে অপ্রয়োজনয়ী রেফার করে শহরের লোড বাড়িয়ে দিলাম, সেটা ঠিক নয়। এবার যাঁকে রেফার করার দরকার, তাঁকে করলাম না, আর তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেল, সেটাও কাম্য নয়। তাই কাকে রেফার করতে হবে, আর কাকে নয়, সেটা ডাক্তারবাবুদেরই ঠিকমতো পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখতে হবে'। এখন দেখার নয়া এই দুয়ারে পিজি প্রকল্পে বাস্তবেই কতটা উপকৃত হন জেলা তথা গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন - মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড কবে থেকে মিলবে? ঘোষণা করল পর্ষদ