পার্থ-অর্পিতা, কালীঘাটের কাকু, কুন্তল, গোপাল দলপতি থেকে শুরু করে একের পর এক তাবড়-তাবড় নাম উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে। এখন শুরু হয়েছে তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে জলঘোলা। তদন্তে নেমে তাঁর সম্পর্কে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, শুধু চাকরি নয়, সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের বদলির জন্য মোটা টাকা নিতেন শান্তনু। চাকরি বিক্রি করে শান্তনুর কমানো টাকার হদিশ পেতে এবার ইডির নিশানায় শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ইডি সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কার নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এর আগেও প্রিয়াঙ্কাকে তলব করেছেন ইডি আধিকারিকরা। একাধিকবার ইডির নোটিশ এড়িয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। চলতি সপ্তাহে ফের তলব করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। সূত্রের খবর, হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় কোবড়ো হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বলাগড় উচ্চ-বালিকা বিদ্যালয় থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেন।
এরপর বিজয়কৃষ্ণ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। স্নাতক পাশের ডিগ্রি নেওয়ার পরে প্রিয়াঙ্কা বিএড পাশ করেন। জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কার একটি বুটিকও রয়েছে। ২০০৫ সালে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। শান্তনুর সম্পত্তির পরিমাণ যেভাবে বেড়েছে, তা দেখে হতভম্ব তদন্তকারীরাও।
সূত্রের দাবি, বিলাসবহুল বাড়ি, বাগানবাড়ি, ধাবা রয়েছে শান্তনুর। বলাগড়ে গঙ্গার ধারে বিশাল এলাকাজুড়ে এই বাগানবাড়ি। তবে শুক্রবারের ঘটনার পর শনিবার সকাল থেকে বাগানবাড়ির মূলগেট বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই বাগানবাড়ির জায়গাও নাকি নিজের প্রভাব খাটিয়ে আয়ত্ত করেছিলেন শান্তনু। রাত বাড়লেই এই বাগানবাড়িতে শুরু হতো নামী দামি গাড়ির আনাগোনা। কে বা কারা আসতেন তা বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যেত না। কারণ, সমস্ত গাড়ির কাচ তোলা থাকত। বাগানবাড়ির দরজা খুলতেই ঢুকে যেত সেইসব গাড়ি।