রাতভর হাতি ধরতে নাজেহাল বনদপ্তর (Forest Department)। অবশেষে জারি করতে হল ১৪৪ ধারা। হাতির যাতায়াতের পথ পরিষ্কার রাখতে ৩১ নং জাতীয় সড়কের গোশালা মোড় এলাকায় বন্ধ করা হয় যান চলাচল। আজ, সোমবার ভোররাত থেকে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) শহরের এসি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় দু'টি হাতি চলে আসে। হাতি দেখতে ভিড় করতে শুরু করেন প্রচুর মানুষ। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসন থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সারাদিন হাতি দুটিকে জঙ্গলে ফেরাতে হিমসিম খেতে হয় বনদপ্তরকে। অবশেষে জলপাইগুড়ির করলা নদীপথে হাতি দুটিকে গাড়ি করে ৩১ নং জাতীয় সড়কের আন্ডারপাস দিয়ে ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে বনদপ্তর।
রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ জলপাইগুড়ির কবরস্থান থেকে হাতি তাড়ানোর কাজ শুরু করে বনকর্মীরা। তাড়া খেয়ে জলপাইগুড়ির কবরস্থান থেকে হাতি দুটি বেরিয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দিকে যায়। এরপর ফের তাড়া খেয়ে কবরস্থানের দিকে ফিরে যায়। বাজী, পটকা ফাটালে সেখান থেকে হাতি দুটো আবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দিকে চলে আসে। ফের হাতি দু'টিকে নদী পথে জাতীয় সড়কে তোলার চেষ্টা চালাতে শুরু করে বনদপ্তর।
অপরদিকে, হাতি ফেরানোর সময় যাতে ভিড় করা মানুষের তাড়া খেয়ে হাতি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণ হানি না করে তাই জাতীয় সড়কে মাইকিং শুরু করে পুলিশ। একইসঙ্গে জলপাইগুড়ি ৩১ নং জাতীয় সড়ককের গোশালা মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ঘুরপথে গাড়ি চলাচল করায় পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হাতি দুটি এখনও বনে ফেরত পাঠাতে পারেনি বন দপ্তরের কর্মীরা।