Advertisement

লকডাউনে দারিদ্র? মালদায় কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী চাষি

প্রতিদিনের মতো রবিবারও (Sunday) বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা জমিতে কাজ করতে যান। কিন্তু বয়লা মুর্মু কাজে যাননি। বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সেইসময় বাড়ি ফাঁকা পেয়েই কীটনাশক খান ওই কৃষক। এরপর পরিবারের সদস্যরা কাজ সেরে বাড়িতে ফিরে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। পাশেই পড়ে রয়েছে কীটনাশকের বোতল। তা দেখেই তাঁরা সন্দেহ করেন হয়ত কীটনাশক খেয়েছেন তিনি। 

প্রতীকী ছবি
ভাস্কর রায়
  • মালদা,
  • 09 Aug 2021,
  • अपडेटेड 10:48 AM IST
  • মালদায় আত্মঘাতী কৃষক
  • কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা
  • সাম্প্রতিককালে প্রচণ্ড নেশা করছেন ওই কৃষক

কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী কৃষক। মালদার (Malda) গাজোল থানার অন্তর্গত মক্রম দিঘী এলাকার ঘটনা। মৃত কৃষকের নাম বয়লা মুর্মু। লকডাউন পরিস্থিতিতে আর্থিক অবস্থার অবনতির জেরেই আত্মহত্যা বলে অনুমান। শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। তদন্তে পুলিশ।  

ফাঁকা বাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো রবিবারও (Sunday) বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা জমিতে কাজ করতে যান। কিন্তু বয়লা মুর্মু কাজে যাননি। বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সেইসময় বাড়ি ফাঁকা পেয়েই কীটনাশক খান ওই কৃষক। এরপর পরিবারের সদস্যরা কাজ সেরে বাড়িতে ফিরে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। পাশেই পড়ে রয়েছে কীটনাশকের বোতল। তা দেখেই তাঁরা সন্দেহ করেন হয়ত কীটনাশক খেয়েছেন তিনি। 

তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গাজলের হাতিমারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু বয়লা মুর্মুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এরপর রাতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন সোমবার সকালে মৃত্যু হয় ওই তাঁর। এরপর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয় মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে।

সাম্প্রতিককালে নেশা করছিলেন ওই কৃষক

আত্মঘাতী কৃষকের পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে। এই বিষয়ে পরিবারের এক সদস্য জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সমস্যার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই বয়লা মুর্মু। এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন ধরে প্রচণ্ড নেশাগ্রস্তও হয়ে পড়েন তিনি। যদিও ঠিক কী কারণে আত্মহত্যা সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পরিবার। 

ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর্থিক সংকটের জেরেই বয়লা মুর্মু আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান। গোটা বিষয়টি খতিয় দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তদন্তকারীরা কথা বলতে পারেন বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। 

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement