হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti West Bengal) নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। রিষড়ায় অশান্তি রুখতে আধাসামরিক বাহিনী (Central Force West Bengal) মোতায়েন করতে পারে রাজ্য সরকার। এই মর্মে রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মহামান্য হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, অশান্তি রুখতে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে পারে রাজ্য। কেন্দ্রকে এই বিষয়ে অবিলম্বে সাহায্য করতে হবে।
হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, হনুমান জয়ন্তীতে কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও নেতা কোথাও কোনও বক্তব্য পেশ করতে পারবেন না। রাজ্য সরকারের তরফে আধা সামরিক বাহিনী চেয়ে পাঠানো হবে কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্র তাতে সাহায্য করবে। তারপর সরকারের যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে এই বাহিনী মোতায়েন করবে। হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, রাজ্য সরকারকে আজ বুধবার বিকেল থেকেই রুটমার্চ করাতে হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ভীতি আছে তা দূর করাতে হবে রাজ্য সরকারকেই।
মহামান্য হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, সরকারের তরফে হনুমান জয়ন্তী নিয়ে যে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে, তার উপর ভিত্তি করেই এই নির্দেশ দেওয়া হল।
আরও পড়ুন : আজ থেকেই রুট মার্চ, হনুমান জয়ন্তীতে প্রয়োজনে আধাসামরিক বাহিনী; বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, হনুমান জয়ন্তী নিয়ে ইতিমধ্যেই গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, লালবাজারের সেই নির্দেশিকায় উল্লেখ, কতজন মিছিলে থাকবেন, তার সঠিক সংখ্যার উল্লেখ থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে হবে। লাউডস্পিকার, হর্ন ইত্যাদি সাইলেন্স জোনে বাজানো যাবে না। কোনওরকম আতসবাজি, বোম ফাটানো যাবে না। প্ররোচনামূলক মন্তব্য মিছিল থেকে করা যাবে না। হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাইক ব়্যালি ও ডিজে সাউন্ড বাজানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে লালবাজার। লাঠি-তলোয়ার ব্যবহার করা যাবে না। বা কোনও রকম অস্ত্রও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই সব শর্ত মেনে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। তারপরই অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে ভাবা যাবে।
আরও পড়ুন : এই রাজ্যে আরও ৪ শতাংশ বাড়ল ডিএ, খুশি সরকারি কর্মীরা
হনুমান জয়ন্তীর দিন বিজেপি নতুন করে রাজ্যে অশান্তি বাঁধানোর পরিকল্পনা করতে পারে। তা যাতে না হয়, সেটা দেখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পরই নবান্নর তরফে সরকারিভাবে সমস্ত জেলার পুলিশ সুপারের কাছেও এই মর্মে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। পুলিশ সুপারদের বলা হয়, ওইদিন যাতে কোনও ভাবে অশান্তির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য সব রকম বন্দোবস্ত রাখতে হবে। ওই দিন পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।