Advertisement

চাকরি জটে ববিতা! অঙ্কিতার থেকে পাওয়া ১৫ লক্ষ আলাদা রাখার নির্দেশ

হাইকোর্টের নির্দেশে অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। তারপর তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনামিকা রায় নামে আরও এক চাকরি প্রার্থী। শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে ববিতা যে নম্বর পেয়েছেন, তা সঠিক নয় বলে দাবি অনামিকার। তাই ববিতার জায়গায় ওই চাকরি তাঁর পাওয়া উচিত বলে দাবি অনামিকা রায়ের (Anamika Roy)।  অনামিকার দাবি, আসলে ববিতার নয়, অঙ্কিতার জায়গায় চাকরি পাওয়ার কথা তাঁর। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার ৯ জানুয়ারি।

ববিতা সরকার ও অনামিকা রায় (বামদিক থেকে)ববিতা সরকার ও অনামিকা রায় (বামদিক থেকে)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 Jan 2023,
  • अपडेटेड 7:48 PM IST
  • ববিতার চাকরি নিয়ে জট জারি
  • ১৫ লক্ষ টাকা আলাদা করে রাখার নির্দেশ
  • পরবর্তী শুনানি ৯ জানুয়ারি

অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় চাকরি পাওয়া ববিতা সরকারের (Babita Sarkar) চাকরি নিয়ে জট অব্যাহত। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার কাছ থেকে পাওয়া টাকা আলাদা অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে ববিতাকে। বৃহস্পতিবার এমনটাই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। 

মামলায় জয়ী হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে অঙ্কিতার পদে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। তারপর তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনামিকা রায় নামে আরও এক চাকরি প্রার্থী। শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে ববিতা যে নম্বর পেয়েছেন, তা সঠিক নয় বলে দাবি অনামিকার। তাই ববিতার জায়গায় ওই চাকরি তাঁর পাওয়া উচিত বলে দাবি অনামিকা রায়ের (Anamika Roy)।  অনামিকার দাবি, আসলে ববিতার নয়, অঙ্কিতার জায়গায় চাকরি পাওয়ার কথা তাঁর। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার ৯ জানুয়ারি।

জানা গিয়েছে, ববিতা সরকার ও অনামিকা রায়ের সাবজেক্ট একই। কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবকে আদালতের তরফে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞেস করা হলে, তাঁরা জানান, ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩, তাঁর পাওয়ার কথা ৩১। মেধা তালিকা দেখে অনামিকা মামলা দায়ের করেন ববিতা ও কমিশনের বিরুদ্ধে। এরপর এদিন অনামিকা রায়ের মামলার বিরোধিতা করে কমিশন। তাদের আইনজীবী সুতানু পাত্র জানান, নতুন আবেদন করতে পারতেন অনামিকা, কিন্তু কারও জায়গায় এভাবে তাঁর চাকরির আবেদন করা যায় না। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, ভুল তথ্য দিয়েছে ববিতা, তাই তাঁর চাকরি বাতিল হোক। 

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে অঙ্কিতা অধিকারীর থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন ববিতা। এবার সেই টাকাই আলাদা করে ববিতাকে অন্য অ্যাকাউন্টে জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ববিতাকে আলাদা করে ফিক্সড ডিপোজিট করে ওই টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। কারণ যদি মামলার রায় তাঁর বিপক্ষে যায় তাহলে সেই পুরো টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে ববিতাকে। আর শুধু তাই নয়, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ না হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি আবেদনে ৬০ শতাংশ লিখলেন, তার ব্যাখ্যাও ববিতাকে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

Advertisement


 

Read more!
Advertisement
Advertisement