Kaliganj Bomb Blast: কালীগঞ্জে ওই নাবালিকাকে বোমা মারল কারা? এখনও পর্যন্ত যা খবর

বিজয় মিছিল থেকে বোমা?
সোমবার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোটগণনা ছিল। ফল ঘোষণার আগেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ বিপুল ব্যবধানে জিততে চলেছেন। সেই আনন্দে মোলান্দি গ্রামে বিজয় মিছিল বের করেন শাসক দলের কর্মী-সমর্থকেরা। পরিবারের দাবি, ঘটনার সময়, মা-এর হাত ধরে বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়েছিল তামান্না। অভিযোগ, সেই মিছিল থেকেই ছোড়া হয় বোমা। তাতেই ঘটে বিপর্যয়। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় ১০ বছরের তামান্না খাতুনের। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর পরিবার এলাকায় সিপিএম সমর্থক হিসাবে পরিচিত ছিল। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে, রাজনৈতির প্রতিহিংসা থেকে এই বোমা ছোড়া হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট
ঘটনার পরপরই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, 'কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অন্তর্গত বড়চাঁদঘর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। আমি স্তম্ভিত, অত্যন্ত ব্যথিত। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। পুলিশ অবশ্যই এ বিষয়ে দ্রুত কড়া আইনি পদক্ষেপ নেবে। দোষীদের যত দ্রুত সম্ভব কড়া শাস্তি দিতে হবে।'

ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনও। কমিশনের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। 

রাজ্য পুলিশের পোস্ট
পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানায়, 'এই ঘটনায় যারা দায়ী, তারা কোনওভাবেই রেহাই পাবে না। অভিযুক্তদের ধরতে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলছে।'

ঘটনার পর থেকেই থমথমে মোলান্দি এলাকা। মোতায়েন পুলিশ বাহিনী। নিহত নাবালিকার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

'ওদের আনন্দের জন্য আমার কোল খালি করে দেবে?'
শাসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নাবালিকার মা। তাঁর দাবি, শুধুমাত্র CPIM-কে ভোট দেওয়ার কারণেই তাঁদের বাড়িতে ইচ্ছাকৃত ভাবে হামলা চালিয়ে মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'উৎসব করে কি মানুষ মেরে দেবে? ওদের আনন্দের জন্য আমার কোল খালি করে দেবে?'

নাবালিকার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকাবাসীর প্রশ্ন— কীভাবে একটি উপনির্বাচনের বিজয় মিছিল থেকেও এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে? এর পিছনে শুধুই কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।