Kartik Maharaj: 'আমি সন্ন্যাসী, এই ধরনের...', ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন কার্তিক মহারাজ

মহিলার আরও অভিযোগ, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এই সন্ন্যাসী মুর্শিদাবাদের একটি আশ্রমে নিয়ে যান তাঁকে। মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলে তাঁকে শিক্ষকতার সুযোগ করে দেওয়ার টোপ দেন তিনি। আশ্রমেই তাঁকে থাকতে দেন কার্তিক মহারাজ। 

অভিযোগকারিনীর দাবি, এক রাতে সন্ন্যাসী তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন এবং তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেন। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে জুন মাসের মধ্যে ১২ বার তাঁকে ধর্ষণ করেন কার্তিক মহারাজ। ভয়, আতঙ্ক এবং অসহায়তার কারণে তিনি এত বছর চুপ ছিলেন বলে জানিয়েছেন মহিলা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে কার্তিক মহারাজ আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন বলে চাঞ্চল্যকর দাবি ওই মহিলার। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে BJP ঘনিষ্ট এই সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে। শুরু হয়েছে তদন্ত। 

কী প্রতিক্রিয়া কার্তিক মহারাজের?
পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সন্ন্যাসী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কার্তিক মহারাজের বক্তব্য, 'আমি সন্ন্যাসী। সন্ন্যাসীর জীবনে এমন বাধা-বিপত্তি আসে। এমনটা অপ্রত্যাশিত নয়।' গোটা ঘটনা নিয়ে তাঁর লিগাল টিম যা পদক্ষেপ করার করছে, এমনটাই জানিয়েছেন মহারাজ। 

রাজনৈতিক কারণেই কার্তিক মহারাজের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি মহারাজের অনুগামীদের। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে, মুর্শিদাবাদ জেলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কার্তিক মহারাজকে নিশানা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  গত  মে মাসেও বহরমপুরে এসে জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে নাম না করেই  কার্তিক মহারাজকে ফের দুষেছিলেন  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। 

BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, '১২ বছর পর কেন অভিযোগ করা হচ্ছে? এতদিন কেন অভিযোগ করেননি? পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।' ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই অভিযোগ দায়ের করা হয়ছে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে, এমনটাই মনে করছেন সুকান্ত।