Advertisement

Kaustav Bagchi : কৌস্তভের মামলায় বড় নির্দেশ হাইকোর্টের, FIR-এ স্থগিতাদেশ

হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে দিন কয়েক আগে গভীর রাতে কৌস্তুভ বাগচীর ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কৌস্তুভের গ্রেফতারির পর কংগ্রেস এবং বাম আইনজীবীরা তাঁর পাশে দাঁড়ান। কংগ্রেস এবং বামেরা কৌস্তুভের গ্রেফতারির কড়া নিন্দা করে। এই ইস্যুতে জাতীয় স্তরে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পাল্টা পুলিশের দাবি ছিল, হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে কৌস্তুভকে। 

কৌস্তভ বাগচীকৌস্তভ বাগচী
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 Mar 2023,
  • अपडेटेड 3:20 PM IST
  • আদালতে কৌস্তভ বাগচী মামলা
  • এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ
  • ৪ সপ্তাহ স্থগিত মামলা

কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীর (Kaustav Bagchi) বিরুদ্ধে এফআইআর-এর ওপর স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী আগামী চার সপ্তাহ স্থগিত থাকবে এই মামলা। আর শুধু তাই নয়, এই সময়ের মধ্যে কৌস্তুভের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও পদক্ষেপও করতে পারবে না পুলিশ। শুনানিতে মাঝরাতে কংগ্রেস নেতার বাড়ি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করার পদ্ধতি নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে দিন কয়েক আগে গভীর রাতে কৌস্তুভ বাগচীর ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কৌস্তুভের গ্রেফতারির পর কংগ্রেস এবং বাম আইনজীবীরা তাঁর পাশে দাঁড়ান। কংগ্রেস এবং বামেরা কৌস্তুভের গ্রেফতারির কড়া নিন্দা করে। এই ইস্যুতে জাতীয় স্তরে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পাল্টা পুলিশের দাবি ছিল, হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে কৌস্তুভকে। 

৪ মার্চ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় কৌস্তভ বাগচীকে। ব্যক্তিগত এক হাজার টাকার বন্ডে তাঁকে জামিন দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। কৌস্তভের জামিনের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। অবিলম্বে কৌস্তুভকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়ার আবেদন জানান তাঁরা। ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেই চুল কামিয়ে ন্যাড়া হন কৌস্তভ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত মাথায় চুল রাখবেন না বলেও প্রতিজ্ঞা করেন তিনি।

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, অধীরের কন্যার আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা তিনি জানেন। এরপরেই ৩ মার্চ পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। তারপরেই কৌস্তভের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement